যিশুর সঙ্গী শোভন।
কখনও কলকাতা, কখনও মুম্বই। ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। যিশু সেনগুপ্ত। দম ফেলার সময় নেই। তবু ফাঁক পেলেই বসে পড়েন জমাটি আড্ডায়। সঙ্গে দেদার গানবাজনা। যিশুর বৈঠকখানার ঘেরাটোপ থেকে সেই গানই এ বার সোজা মঞ্চে। ব্যান্ড তৈরি করেছেন ‘উমা’র ‘হিমাদ্রী’। নাম ‘যিশু অ্যান্ড রেট্রোডিকশনস’।
পর্দা পেরিয়ে এই নতুন গান-সফরে যিশুর সঙ্গী গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ সালে ‘সারেগামাপা’-র সেটে আলাপ দু’জনের। যিশু তখন সঞ্চালক, শোভন প্রতিযোগী। অনুষ্ঠান শেষ হলেও সম্পর্ক ফুরোয়নি। যিশুর বাড়ির ঘরোয়া আড্ডায় মাঝেমধ্যেই গানবাজনায় মেতে ওঠেন শোভন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমি, স্বস্তিকা, আমাদের অন্য বন্ধুরা মাঝেমাঝেই যিশুদার বাড়িতে আড্ডা দিই। গানবাজনাও হয়। সেখান থেকেই ব্যান্ড তৈরির কথা মাথায় আসে যিশুদার। এ সবই ওর পরিকল্পনা। আমি শুধু পাশে থেকেছি।”
ইতিমধ্যেই একাধিক অনুষ্ঠান করে ফেলেছে ব্যান্ড। গান গাইছেন শোভন। ড্রামসে যিশু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বেও তিনিই। দলে রয়েছেন জন পল, অর্ণব চক্রবর্তী, পার্থ দাসের মতো সঙ্গীতশিল্পীরাও। ‘যিশু অ্যান্ড রেট্রোডিকশনস’-এর মহড়া চলছে সপ্তাহে এক দিন, যিশুর বাড়িতেই। শোভনের কথায়, “গানের জন্য যিশুদা সব করতে পারে। একটা ড্রামকিটও কিনে ফেলেছে ও। ওর কাছে গানই সব। গায়ক হিসবে ওর সঙ্গে থাকতে পেরে আমারও খুব ভাল লাগছে।”
এই প্রথম নয়। অতীতে ‘কুইনাইন’ নামে একটি ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন যিশু। টলিউড তারকাদের সেই ব্যান্ড বেশি দিন টিকে থাকেনি। নতুন করে গানের চর্চা শুরুর ভাবনা ছিল তখন থেকেই। শোভনকে সঙ্গী করে অবশেষে ইচ্ছেপূরণ হল অভিনেতার। “বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের অভাবে ব্যান্ডগুলো ভেঙে যায়। আমাদের ক্ষেত্রে যাতে তেমন কিছু না হয়, শুরু থেকেই সে কথা মাথায় রাখছি। কী কী কারণে একটা ব্যান্ড ভাঙতে পারে, সেই কারণগুলো জেনে তার পর আমরা কাজ শুরু করেছি”, বললেন শোভন।
আপাতত আট এবং নয়ের দশকের বিভিন্ন গানকে নিজেদের মতো করে সাজিয়েগুছিয়ে পরিবেশন। এর পর নিজস্ব গান তৈরির পথে হাঁটবে ‘যিশু অ্যান্ড রেট্রোডিকশনস’।