মানুষকে ছুঁতে চেয়ে অঙ্গন নাট্যোৎসব

এ বার অবশ্য ১২ বছরের নাট্যোত্সবে সংস্থার সদস্য অভিনেতা পার্থপ্রতিম দে নেই— মাস কয়েক আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তিনি।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২৬
Share:

প্রস্তুতি: ‘চড়ুইভাতি’ নাটকের মহড়ায় প্রয়াত পার্থপ্রতিম দে (স্ট্রেচার হাতে পিছনে)। নিজস্ব চিত্র

মঞ্চবিহীন অঙ্গন নাট্যোত্সবের একযুগ পূর্ণ করতে চলেছে ঝাড়গ্রামের ‘প্রয়াস’ নাটকের দল। আজ, শনিবার সন্ধ্যায় অরণ্যশহরে প্রয়াসের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে মঞ্চবিহীন তিন দিনের অঙ্গন নাট্যোত্সব। ঝাড়গ্রাম শহরের মাঝেরপাড়া দুর্গাময়দানের মাঠে এ বার এই নাট্যোত্সবের ১২তম বর্ষ। প্রতি সন্ধ্যায় দু’টি করে মোট ৬টি অঙ্গন নাটক পরিবেশিত হবে।

Advertisement

এ বার অবশ্য ১২ বছরের নাট্যোত্সবে সংস্থার সদস্য অভিনেতা পার্থপ্রতিম দে নেই— মাস কয়েক আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ‘প্রয়াস’-এর নিয়মিত অভিনেতা ছিলেন তিনি। তাঁকে স্মরণ করেই শুরু হচ্ছে উত্সব। শনিবার সূচনা সন্ধ্যায় প্রথমে পরিবেশিত হবে প্রয়াস প্রযোজিত ‘চড়ুইভাতি’। এই নাটকে অভিনয় করার কথা ছিল পার্থবাবুর। প্রয়াত অভিনেতার স্মরণে নাটকটি পরিবেশিত হবে। এর পর কলকাতার ‘আয়না’ সংস্থা প্রযোজিত ‘অতএব মানুষ’ নাটক অভিনীত হবে। রবিবার শুরুতে রয়েছে কলকাতার ‘শতাব্দী’র নাটক ‘থাকে শুধু নচিকেতা’। পরে কলকাতার ‘প্রাচ্য’ নাট্যদলের ‘দ্য লেসন’ নাটকটি অভিনীত হবে। সোমবার সমাপ্তি সন্ধ্যায় থাকছে কলকাতার ‘ভান’ সংস্থার নাটক ‘টেলুরাম টেররিস্ট’ এবং উত্তর ২৪ পরগনার ধুলাউড়ানিয়ার নাটক ‘ভুল রাস্তা’।

আরও পড়ুন: করিমুলের কাহিনি এ বার বলিউডেও

Advertisement

‘প্রয়াস’-এর কর্ণধার বিশিষ্ট নাট্যকর্মী প্রদীপ চক্রবর্তীর কথায়, “মানুষের সমস্যাগুলোকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করার অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হল নাটক। কষ্টে থাকা মানুষের জন্য সোচ্চার হতে যুগে যুগে নাটকের মাধ্যমেই প্রতিবাদের সূচনা হয়েছে। আমরা নাটক দিয়ে মানুষকে গভীর ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করছি।” তিনি আরও জানান, সে কারণেই মঞ্চবিহীন অঙ্গনে দর্শককে ছুঁয়েই ‘প্রয়াস’-এর প্রতিটি প্রযোজনায় রয়েছে মানুষের কথা। নাট্যোত্সবে সমভাবাপন্ন এমনই পাঁচটি আমন্ত্রিত দলের অঙ্গন-নাটকও থাকছে। মঞ্চ-নাটকের সঙ্গে অবশ্য বিরোধ নেই প্রদীপবাবুদের। মঞ্চের নাটকও করেন তাঁরা। প্রদীপবাবু বলেন, “আমাদের দর্শক গ্রামগঞ্জের মানুষ। গ্রামাঞ্চলের মঞ্চের অভাব রয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরে নাটকের উপযুক্ত মঞ্চ নেই। সে কারণে আমাদের বেশির ভাগ প্রযোজনা মঞ্চবিহীন অঙ্গন মাধ্যমেই অভিনীত হয়। এর একটা অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের দিকও রয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement