ছৌ মুখোশে সেজে উঠছে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ

আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ প্রাঙ্গণের মঞ্চ থেকে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৩৮
Share:

আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ প্রাঙ্গণের মঞ্চ থেকে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের যুগ্ম আয়োজক হল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতর ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পরে ঝাড়গ্রামে উৎসব প্রাঙ্গণে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর উপস্থিতিতে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকটি আদিবাসী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর হাতে ধামসা-মাদল তুলে দেবেন। বাকি গোষ্ঠীগুলি ঝাড়গ্রামের উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে ধামসা-মাদল পাবে। পাঁচদিনের উৎসব চলবে শনিবার, ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ঝাড়গ্রামে উৎসব প্রাঙ্গণটি তৈরি হয়েছে গ্রামীণ হস্তশিল্প কারিগরি হাটের আদলে। মূল মঞ্চ ও প্রাঙ্গণের মাঝে আটচালাটি সাজানো হয়েছে নানা ধরনের ছৌ মুখোস ও টুসুমূর্তি দিয়ে। এগুলি তৈরি করেছেন ঝাড়গ্রামের প্রবীণ হস্তশিল্পী অলোক মিশ্র ও তাঁর মেয়ে চিত্রলেখা মিশ্র। উৎসব প্রাঙ্গণের প্রবেশ তোরণটি সাজিয়েছেন আর এক তরুণ শিল্পী অভিজিত্‌ দত্ত। তোরণের অঙ্গসজ্জায় টুসু ও পোড়া মাটির হাতি-ঘোড়া ব্যবহার করা হয়েছে। আলোকমালায় সাজানো হয়েছে উৎসব প্রাঙ্গণ।

Advertisement

উৎসব প্রাঙ্গণে জঙ্গলমহলের তিনটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের ৪৮টি স্টল থাকছে। এ ছাড়াও উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন হস্তশিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিপনণেরও ব্যবস্থা থাকছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো জানান, জঙ্গলমহলের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি ব্লকের ৪৮০টি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও সংস্থাকে ধামসা-মাদল প্রদান করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement