অনন্ত অম্বানী আর রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানে (বাঁ দিকে) মুকেশ অম্বানী এবং অমিতাভ বচ্চন। জয়া বচ্চন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর মেজাজের তল পাওয়া বেশ শক্ত। আলোকচিত্রীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। মেজাজ যেন সব সময়েই সপ্তমে। আলোকচিত্রীদের দেখলেই মাথাগরম করে ফেলেন জয়া বচ্চন। মাঝেমধ্যেই বকাঝকাও দেন তাঁদের। সাধারণত, অমিতাভ-ঘরনির ভয়ে যেন তটস্থ থাকেন তাঁরা। রবিবার সপরিবার জামনগর পৌঁছন অভিনেত্রী। উপলক্ষ, অনন্ত অম্বানী আর রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ উদ্যাপন। তা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ১ মার্চ জামনগরে শুরু হয়েছিল এই অনুষ্ঠান। বিয়ের আগের এই উদ্যাপনে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশ-বিদেশের গণ্যমান্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং অবশ্যই গোটা বলিউড। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ দিনে পৌঁছন জয়া। বিমানবন্দরে পা দেওয়া মাত্রই যেন ভোলবদল অভিনেত্রীর। তাঁর ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের মন্তব্য, ‘‘ওঁর হলটা কী? সুস্থ আছেন তো!’’
প্রকাশ্যে আলোকচিত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জয়ার বিরুদ্ধে আগেও উঠেছে। কেন অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্যামেরার সামনে আঙুল তুলেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। অনেক সময় আলোকচিত্রীদের শত ডাকাডাকিতেও কান না দিয়ে চলে গিয়েছেন। কখনও আবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অম্বানীদের বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একেবারে ফুরফুরে মেজাজে জয়া। তাঁকে দেখা মাত্র আলোকচিত্রীরা বলে ওঠেন, ‘‘জয় শ্রীকৃষ্ণ, জয়া বহেন।’’ তাতেই সঙ্গে সঙ্গে হেসে হাতে নাড়েন তিনি। জামনগর বিমানবন্দরে তাঁর এই ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। অতীতে আলোকচিত্রীদের প্রতি তাঁর আচরণের যে ইতিহাস রয়েছে, তা মাথায় রেখেই নেটাগরিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। কেউ বলছেন, ‘‘ওঁর হলটা কী’’, কারও মন্তব্য, ‘‘ উনি আদৌ ঠিক আছেন তো?’’ সাধারণ সংবাদমাধ্যমের সামনে সর্বদাই রুক্ষ মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। যদিও এ দিনের ঘটনাকে ব্যতিক্রমী বলেই ধরে নিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।