নববর্ষ নিয়ে কী জানালেন দেবলীনা কুমার? ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে ছবিতে অভিনয়। আর এক দিকে নিয়মিত শরীরচর্চা। অন্য এক দিকে নাচ। ছবির পর্দায় নয়। বাস্তবেই এমন নানা রূপে দেখা যায় দেবলীনা কুমারকে। এ বার নববর্ষের ঠিক আগের দিন আর এক নতুন সফর শুরুর ইঙ্গিত দিলেন অভিনেত্রী।
একটি শাড়ি। তার উপরে রাখা বেশ কিছু গয়না ও সিঁদুরের কৌটো। এমনই একটি ছবি ভাগ করে নেন দেবলীনা। ক্যাপশনে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পংক্তি "কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও"। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী জানান, নতুন বছরের প্রথম দিনেই তাঁদের আসন্ন ছবি ‘রাশ’-এর পোস্টার প্রকাশ পাচ্ছে। সেই ইঙ্গিতই রয়েছে এই পোস্টে।
একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, অভিনয় ও নববর্ষ। কী ভাবে এক সুতোয় বাঁধেন দেবলীনা? কিছু দিন আগেই রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে একাধিক কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “এই বছরটা আমার জন্য খুব বিশেষ ছিল। তার অনেকগুলো কারণ। ‘রাশ’ ছবিটি তার মধ্যে অন্যতম। আমি যে ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ করি, এটা তেমনই একটি ছবি। অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়কে চিনতাম। পরিচালক হিসেবে তাঁকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করলাম এই ছবিতে।”
গত এক বছরে রবীন্দ্রনাথকে নিয়েও বেশ কিছু কাজ করেছেন দেবলীনা। এই কাজগুলি করতে পেরে এই বছরটাকে খুব বিশেষ ও শুভ বলে মনে করছেন অভিনেত্রী। একই রকমের প্রাপ্তি নতুন বছরেও হবে বলে আশা করছেন দেবলীনা।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ‘মহুয়া’র ‘বিদায়’ কবিতার পংক্তি "কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও"। নিজের জীবনের চলার পথেও কি কবিগুরুর দর্শন বা ভাবনার প্রয়োগ করেন দেবলীনা? এই প্রসঙ্গে দেবলীনা বলেন, “আমি আসলে মানুষ হিসেবে নিজেকে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। অবশ্যই, আমি খুবই অভ্যাসের দাস। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। পুরনোকে ধরে বাঁচতে অনেকেই আমরা চাই হয়তো। তা যতই মনের কাছের বিষয় হোক, সেটা তো হয় না! তাই নতুন বছরেও চেষ্টা করব সময়কে মানিয়ে যতটা এগিয়ে চলা যায়।”
নববর্ষের সকালও শুরু হবে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেই। দেবলীনার কথায়, “প্রতি বছরই একটা করে প্রভাতী অনুষ্ঠান থাকে আমার। এ বারও তাই হবে। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সেই অনুষ্ঠান করব। তার পরে সারা দিন বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটবে। গৌরবের শুটিং রয়েছে। ওর সঙ্গে হয়তো রাতে কোথাও খেতে যাব।”