রক্তে হিমোগ্লোবিন কম? কী নিয়ম মানলে শরীরও ঠিক থাকবে, চুল পড়াও বন্ধ হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
ক্লান্তি বাড়ছে। ঘুম থেকেও উঠেও ঝিমুনি যায় না। এ দিকে চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। খাবার দেখলেই অরুচি আসছে। খিদেও কমছে দিন দিন। অফিস যাতায়াতের ধকল যেন আর বইতে পারছেন না। গরমের সময়ে এগুলিকে শুধুই ক্লান্তি বলে অবহেলা করলে আপনি কিন্তু মস্ত ভুল করবেন। এগুলি কিন্তু হতেই পারে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার লক্ষণ। আর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হওয়া মানেই, আরও নানা সমস্যা দেখা দেওয়া। সেই সঙ্গেই চুল পড়ার সমস্যাও বাড়বে। গোছা গোছা চুল উঠতে শুরু করলে, কেবল খুশকির সমস্যা ভাববেন না। রক্তাল্পতার কারণেও এমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
প্রথমেই ডায়েটে নজর দেওয়া জরুরি। প্রাতরাশে খান কিসমিস, অ্যাপ্রিকট, কাজু বা কাঠবাদাম। বিন বা ডাল জাতীয় খাবার রাখুন ডায়েটে। সিদ্ধ বিন সাত থেকে নয় মিলিগ্রাম পর্যন্ত আয়রন জোগাতে পারে শরীরে। এক কাপ ছোলায় রয়েছে তিন থেকে পাঁচ মিলিগ্রাম আয়রন। সিদ্ধ ডালের জল রোজ খেলে উপকার পাবেন।
শাক-সব্জি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিটের মতো আনাজ হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটো, কুমড়ো, ব্রকোলি বা পালং শাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এগুলি খেলেও রক্তাল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
চুলের পরিচর্যাও করতে হবে। প্রতি দিন নারকেল তেল হালকা গরম করে ভাল করে চুল ও মাথার তালুতে মালিশ করুন। সেই সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল দিয়েও চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। আধ কাপের মতো নারকেল তেলে এক চামচ অ্যালো ভেরা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে ভাল ভাবে মালিশ করতে হবে। এতে চুলের ঘনত্ব বাড়বে, চুল পড়া বন্ধ হবে।
সমান মাপে ক্যাস্টর অয়েল আর অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে ভাল ভাবে মেশান। মিশ্রণটিকে মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। শাওয়ার ক্যাপ বা অন্য কিছু দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।