এ বার কঙ্গনার নিশানায় জয়া বচ্চন।
যে থালাতে খাচ্ছেন, সেই থালাকেই ফুটো করছেন! মঙ্গলবার ভরা রাজ্যসভায় বেজায় চটলেন জয়া বচ্চন। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের কটাক্ষের নিশানায় বিজেপি সাংসদ রবি কিশন শুক্ল। হঠাৎ এই মন্তব্য কেন করলেন অভিনেত্রী?
বেশ কয়েকদিন ধরেই সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে মাদকযোগ নিয়ে চারদিক সরগরম। সেই আঁচ পড়েছে রাজনীতিতেও। ভোজপুরি অভিনেতা ও বিজেপি সাংসদ রবি কিশন মাদক প্রসঙ্গে টেনে লোকসভায় বলেন, বলিউডে মাদকেরভাল রকমই ব্যবহার হয়। এনসিবি-র প্রশংসা করে তিনি সরকারের কাছে মাদককাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার অনুরোধও করেন। এখানেই থেমে যাননি অভিনেতা। দাবি করেন, ভারতের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য চিন এবং পাকিস্তানই নাকি এই নেশা ছড়িয়ে দিচ্ছে তাঁদের মধ্যে।
এরপরেই জয়া গর্জে ওঠেন রবির বিরুদ্ধে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “শুধুমাত্র কয়েকজনের জন্য পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। রবির মন্তব্য শুনে আমি লজ্জিত বোধ করছি।” যে হাত খাওয়াচ্ছে, তাকেই কামড়াচ্ছে, কটাক্ষের তির ছুঁড়ে দেন সাংসদ অভিনেতার দিকে।
অভিনেতাকে কড়া ভাষায় তিনি মনে করিয়ে দেন, বলিউড লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটির জোগান দেয়। এই কঠিন সময়ে যখন দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, বেকারত্ব আকাশ ছুঁয়েছে, সরকার সেগুলির কোনও সমাধান না খুঁজতে পেরেই বলিউডের দুর্নাম করে মানুষের মন ভোলানোর চেষ্টা করছে।
যদিও এখানেও চুপ করে বসে থাকেননি কঙ্গনা। রবির সমর্থনে এগিয়ে এসে সুদূর হিমাচল থেকেই টুইটবাণে বিদ্ধ করেন জয়াকে। প্রশ্ন করেন, “আমার জায়গায় আপনার মেয়ে শ্বেতাকে যদি বলিউডে হেনস্থা হতে হত, মাদক নিতে বাধ্য করা হত, শারীরিক নির্যাতন করা হত, তা হলেও কি আপনি একই ভাবে বলিউডকে সমর্থন করতেন? আপনার ছেলে অভিষেক যদি দুর্ব্যবহার সহ্য না করে গলায় ফাঁস দিত, এই জায়গাটিকে ‘নর্দমা’ বলে মনে হত না আপনার?”
অবশ্য বলিউডের ফার্স্ট লেডিকে চটাতে নারাজ স্বয়ং রবি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, “আমি আশা করেছিলাম জয়াজি আমার সঙ্গে একমত হবেন। এত বড় ইন্ডাস্ট্রিতেই নিশ্চয়ই প্রত্যেকে মাদকাসক্ত নন। তবে যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।”বলিউডকে বাঁচানোর কর্মযজ্ঞে তাঁর সঙ্গী হতেজয়াকে অনুরোধ করেন রবি।
এনসিবি-র আতসকাচের তলায় এই মুহূর্তে রয়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন নামীদামি ব্যক্তিত্ব। উঠে এসেছে সারা আলি খানের মতো ‘এ-লিস্টার’-এর নামও। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলি এই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করবে তা নতুন কিছু নয়।