জয়া আহসান।
কেমন গয়না পছন্দ জয়া আহসানের? সোনা, রুপো, জাঙ্ক! নাকি চোখ ধাঁধাঁনো হিরে?
বাওয়ালি রাজবাড়ি সাক্ষী, ৯ মাস পরে কলকাতায় পা দিয়েই জয়া বেছে নিয়েছেন হিরের দ্যুতি। আনন্দবাজার ডিজিটালই প্রথম জানায় কলকাতায় পা রেখেছেন অভিনেত্রী শ্যুটিং উপলক্ষে। সেই জন্যই তিনি বর্ধমানে।
কুয়াশা জড়ানো শীতের সকাল। রোদ ছড়িয়ে পড়েছে ঘুলঘুলি গলে রাজবাড়ির সিঁড়ির গায়ে, আনাচেকানাচে। সেখানেই দেওয়ালে হেলান দিয়ে সিঁড়ির উপর অলস জয়া বসে। কালো লেসের শাড়ি, সি থ্রু কালো ব্লাউজ। কানে, গলায়, হাতে, নাকে ঝিলমিলিয়ে উঠেছে লক্ষ হিরে।
আপাতত জয়া রবীন্দ্র রমণী। ‘সুন্দর তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে’ রবীন্দ্রনাথের এই ভাবনা থেকেই তৈরি হবে এক অভিজাত গয়না বিপণির বিজ্ঞাপন। পরিচালনায় নীল দাশগুপ্ত। দেশের প্রথম সারির বহু সংস্থার বিজ্ঞাপন এর আগে তৈরি করেছেন নীল। খুব শিগগিরিই হাত রাখছেন ছবির পরিচালনায়।
আরও পড়ুন: দীপাংশু আর সায়নকে বলব এ বার টুম্পাদিকে নিয়ে গান লেখ: সুদীপ্তা
৯ মাস পরে ভারতে ফিরে কেমন লাগছে জয়ার? অভিনেত্রী অকপট, ‘‘নিজের ঘরে নিজেই যেন প্রবাসী! ৯ মাস পরে কলকাতার বাড়ির জানলাগুলো খুলতেই ঘিরে ধরল এক ঝাঁক পাখি। অনেক দিন পরে খেতে দিলাম নিজের হাতে। ওরা আমাকে পেয়ে খুব খুশি।’’
জয়া মানেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বজনীন। তিনি যে নারীর অহঙ্কার অলঙ্কারেও মিশে যেতে পারেন, এই আধুনিক ভাবনাই তাঁকে এই কাজে আকর্ষণ করেছে। শ্যুট শেষে জয়া কলকাতা ছাড়বেন। কিছুদিন ঢাকায় কাটিয়ে আবার ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন: শীতের মধ্যেও টানা ৬ দিন ভেজা শাড়িতে স্বস্তিকা! কেন?
বিজ্ঞাপনের খাতিরে যিনি এত রকম গয়না পরেন তিনি নিজের ইচ্ছায় কেমন গয়নায় সাজেন? ‘‘সোনা, রুপো, মাটির গয়না, যখন যেমন মন চায়’’ ফাঁস করলেন জয়া। এও বললেন, খুব বেশি সাজ, ভারী গয়না তাঁকে মানায় না। তাই যখনই যেটা পরেন খেয়াল রাখেন যেন সেটা হাল্কা, ছিমছাম হয়।