(বাঁ দিকে) কঙ্গনা রানাউত, জাভেদ আখতার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দিন দিন আরও জটিলতা বাড়ছে জাভেদ-কঙ্গনা মামলায়। কঙ্গনা রানাউতের দায়ের করা মামলায় আগামী ৫ অগস্ট জাভেদ আখতারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০২০ সালে বর্ষীয়ান গীতিকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ও ৫০৯ (এক মহিলার শালীনতার অবমাননামূলক কাজ) ধারায় জাভেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কঙ্গনা। সেই মামলায় গত মাসেই জাভেদকে সমন পাঠিয়েছিল মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। এ বার আদালতের সেই সমনের বিরুদ্ধে পাল্টা আর্জি জানিয়ে সেশন কোর্টে গেলেন জাভেদ। বর্ষীয়ান গীতিকারের দাবি, তাড়াহুড়ো করে বেঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। জাভেদ আরও দাবি করেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তে বিচার ব্যবস্থাই কালিমালিপ্ত হচ্ছে। জাভেদের আর্জির ভিত্তিতে ৫ অগস্টের বদলে এ বার আগামী ৮ অগস্ট মামলা শুনবে দিনদোশি আদালত।
বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন ও কঙ্গনার মন কষাকষি কারও অজানা নয়। দুই অভিনেতার সম্পর্কে অবনতি হওয়ার পরে জনসমক্ষে হৃতিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন কঙ্গনা। ২০১৬ সালে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কঙ্গনাকে বাড়িতে ডাকেন জাভেদ। ২০২০ সালে টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, বাড়িতে ডেকে তাঁকে নাকি হুমকি দিয়েছিলেন জাভেদ। তাঁকে নাকি জাভেদ বলেছিলেন, রোশন পরিবারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হলে তখন নাকি মুখ লুকোনো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা এমন দাবি করলে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। পাল্টা গীতিকারের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেন বলিউড অভিনেত্রী। সম্প্রতি আদালতে হাজিরা দেন জাভেদ ও কঙ্গনার চিকিৎসক রমেশ আগরওয়াল। আদালতে তিনি জানান, ২০১৬ সালে জাভেদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কঙ্গনা ও তাঁর বোন রঙ্গোলি চন্দেল। তিনি এ-ও জানান, জাভেদ তাঁকেও বলেছিলেন যে, কঙ্গনা ও হৃতিকের উচিত জনসমক্ষে ঝগড়া না করে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা।