প্রধান চরিত্র নারী হতে পারে না? প্রশ্ন জাহ্নবীর। ফাইল চিত্র।
শুধু ছবির অভিনেত্রীর নাম শুনলে এখনও অনেকের মুখেই পরের প্রশ্নটি শোনা যায়, নায়ক কে? যেন নারী একাই প্রধান চরিত্র হতে পারে না! কোন যুগে পড়ে আছে দৃষ্টিভঙ্গি? প্রশ্ন তুলেছেন জাহ্নবী কপূর। তাঁর দাবি, নতুন ছবি ‘মিলি’-র নাম যদি ‘মিলন’ হত, তার নায়ককেও কি এই পরিস্থিতিতে পড়তে হত কোনও দিন? নিশ্চয়ই না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী কন্যা বললেন, “আমি এমন দুটো ছবি করেছি, যেখানে প্রধান চরিত্র নারী। আমি সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছি। প্রত্যেক বার আমি ছবি দু’টি নিয়ে কথা বলতে গেলেই দেখেছি লোকে অবাক হয়ে যান। ‘দ্য কার্গিল গার্ল’ এবং ‘গুড লাক জেরি’-কে তাঁরাই ‘ব্যাতিক্রমী’ তকমা দিতে চান। কিন্তু কেন? বহু লোককে বলতে শুনেছি, ‘ও আচ্ছা, তুমি নারীকেন্দ্রিক ছবি করছ?’ যদি ‘মিলি’ না হয়ে ‘মিলন’ হত, অভিনেতাকেও কি এ কথা জিজ্ঞেস করা যেত? বিষয়টা অদ্ভুত হত না?”
তবে পুরুষ অভিনেতার খোঁজ করতে থাকা দর্শকও যখন প্রেক্ষাগৃহে একটা ভাল ছবির কদর করতে পারেন, সেই দেখে আশা জাগে জাহ্নবীর। জানান, সত্যিই ভাল চিত্রনাট্য সব কিছুর উত্তর হতে পারে এখনও। নায়িকার কথায়, “থ্রিলার হোক, অ্যাকশন হোক বা পারিবারিক ছবি, দিনের শেষে আমরা বিভিন্ন চরিত্রের গল্প বলছি। কী বিষয়ে বলছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাতে নারীপ্রধান নাকি পুরুষ? এ কোনও প্রশ্নই নয়। ছবি ভাল হলে, সেটিই আসলে ‘হিরো’। আশা রাখি, এক দিন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে। আমার ছবি নিয়ে আমায় যখন বার বার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ‘হিরো কে?’, আমি জবাব দিয়েছি, ‘আমি’।”
মালয়ালম ছবি ‘হেলেন’-এর হিন্দি রিমেক ‘মিলি’, যার পরিচালক মথুকুট্টি জেভিয়ার। জাহ্নবী ছাড়াও সে ছবিতে অভিনয় করেছেন মনোজ পাহবা এবং সানি কৌশল। নভেম্বরের ৪ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে সেই ছবি।