গৌরব ও বাবার সঙ্গে ঋদ্ধিমা
অনেক দিন পরে সংসারে আনন্দ। জামাইষষ্ঠী বলে কথা। গৌরব চক্রবর্তীকে জামাই আদরে ভরিয়ে তুলেছেন ঋদ্ধিমার বাবা। কিন্তু কোথাও যেন ফাঁক রয়েই গিয়েছে। ২ মে নিজের মাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তাঁর মা রিমা ঘোষ। ইনস্টাগ্রামে মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জামাইষষ্ঠীর দিনে বার বার মায়ের কথাই মনে পড়ছে তাঁর। রিমার সব থেকে পছন্দের উৎসব ছিল এই ষষ্ঠী। ‘এ দিন মা থাকলে এই হতো, ওই হতো, এ সবই যেন মনে পড়ছে ঋদ্ধিমার’। তাঁর স্মৃতিচারণ চলছে, যন্ত্রণাও হচ্ছে। কিন্তু আক্ষেপ করার অবকাশ দিলেন না ঋদ্ধিমার বাবা। নিজের হাতে সমস্ত আয়োজন করেছেন তিনি। স্ত্রীর শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করলেন গৌরবের শ্বশুর। সকলের মুখে হাসি ফোটালেন তিনি।
সে সব কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ঋদ্ধিমা। সঙ্গে দিলেন ৭টি ছবি। কোথাও ঋদ্ধিমার সঙ্গে তাঁর বাবা এবং স্বামী গৌরব। কোথাও এলাহি খাবারের থালা, কোথাও দিদার সঙ্গে তারকা দম্পতি, কোথাও আবার দাদু, দিদা এবং ঠাকুমার সঙ্গে ছবি তুলেছেন তাঁরা। ঋদ্ধিমার লেখা থেকেই জানা গেল, বিশেষ দিনে জামাইয়ের যত্ন করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন রিমা ঘোষ। মাকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী লিখলেন, ‘নানা নানি ঠাম্মা বাবা গৌরব প্রতিটা মুহূর্তে তোমাকে মিস করেছে মা। তোমায় ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ। সবাই খুব ভালবাসি তোমায়।’
মে মাস গৌরব ও ঋদ্ধিমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় ছিল। ঋদ্ধিমার মা মারা যাওয়ার পরে গৌরব এবং অর্জুন চক্রবর্তীর দিদা অর্থাৎ মিঠু চক্রবর্তীর মা প্রয়াত হন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। ঋদ্ধিমার বাবাও কোভিড সংক্রামিত হয়েছিলেন। অবস্থা ভাল ছিল না তাঁর। দিন-রাত টানা অক্সিজেন দিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন তিনি। সে সময় গৌরব লিখেছিলেন, ‘যখনই ভাবলাম যে সামলে উঠেছি, তখনই জানতে পারলাম আমি আর ঋদ্ধিমা দু’জনেই করোনা পজিটিভ’। তার পরে তাঁদের লড়াই শুরু হয় করোনার বিরুদ্ধে। শেষমেশ ভাইরাসকে হারিয়ে আজ তাঁরা আবার একজোট হয়েছেন।