শুটিংয়ে শ্বেতা এবং পায়েল।
বাঙালির সন্ধের ড্রইংরুম, অর্থাত্ সিরিয়ালের বসত। শহর হোক বা মফস্সল— ছবিটা একই।
কোথাও শাশুড়ি, বউয়ের ঝগড়া। কোথাও বা বাঙালির হেঁশেলের সাত সতেরো নিয়ে চিত্রনাট্য সাজান পরিচালকরা। কিন্তু সেখানেই যদি এক মুসলিম মেয়ে নিজের শর্তে বাঁচতে চায়? সমাজের অন্ধকার দিকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায় একার জেদে? ঠিক এমন মেয়ের গল্প নিয়েই কয়েক মাস আগে টিভির পর্দায় শুরু হয়েছে ‘জাহানারা’।
মুসলিম মেয়ের এমন গল্প নিয়ে ধারাবাহিক খুব একটা প্রচলিত নয়। তাই প্রথম দিকে চিন্তা থাকলেও দর্শক যে পাস মার্কস দিয়েছেন, তাতে খুশি গোটা টিম। বাবু জানালেন, টিআরপির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। ফলে দর্শক যে এই ধারাবাহিক পছন্দ করছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে হাতেনাতে।
আরও পড়ুন, ঐন্দ্রিলার পুজোর হুল্লোড় শুরু, কার সঙ্গে জানেন?
জাহানারা সেই মেয়ের গল্প যে সমাজের বহুল প্রচলিত নিয়মের বিরুদ্ধে লড়তে ভয় পায় না। বাবা নিজামুদ্দিনের শিক্ষা ও আদর্শে বড় হয়েছে সে ও তার দিদি রুবিনা। সব কিছু যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে শিখেছে। সমাজের যে নিয়মগুলো সমাজকে আরও পিছিয়ে নিয়ে যায় এবং সমাজে মেয়েদের মাথা তুলে দাঁড়াতে বাধা দেয়, জাহানারা রুখে দাঁড়ায় তার বিরুদ্ধে। পেশায় সে উকিল এবং গল্পের শুরুতেই তিন তালাকের বিরুদ্ধে মামলা লড়ে এই মেয়ে।
‘জাহানারা’র সেটে কলাকুশলীরা।
জাহানারা লড়ছে সমাজের সব মেয়েদের হয়ে, কিন্তু তার দিদির জীবনেই নেমে আসে অন্ধকার। রুবিনার বিয়ে হয় এক গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। এর পর জাহানারার লড়াই শুধু বাইরে সীমাবদ্ধ থাকে না। তার লড়াই শুরু হয় কাছের মানুষদের জন্যও। আসলে জাহানারা শুধু একটা মেয়ের গল্প নয়, জাহানারা একটা লড়াইয়ের নাম।
আরও পড়ুন, সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেতা দেবময়
এই ধারাবাহিকে জাহানারার ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্বেতা মিশ্র। রুবিনার ভূমিকায় রয়েছেন পায়েল দে। এ ছাড়াও কুশল চক্রবর্তী, শঙ্কর চক্রবর্তী, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি। প্রযোজনার দায়িত্বে বাবু বণিক প্রোডাকশন এবং সহ প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান ও প্রবাল হালদার।
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)