অকারণ হেনস্থা অভিনেত্রীকে?
২১৫ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন! তোলাবাজির অভিযোগ। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে মুম্বইয়ের অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নাম জড়িয়েছে তাতে। জানা গিয়েছে, সুকেশ তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী জ্যাকলিনকে অবৈধ টাকা থেকেই বহুমূল্য উপহার পাঠিয়েছেন একের পর এক। জানাজানি হতে ইডি তলব করে অভিনেত্রীকে। এ দিকে, জ্যাকলিন ষড়যন্ত্রের শিকার, এমনটাই দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল।
এক বিবৃতিতে ৩৬ বছর বয়সি জ্যাকলিনের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সমস্ত ভাবে সহযোগিতা করেছেন অভিনেত্রী। আজ অবধি জারি করা সমস্ত সমনেই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। সামর্থ অনুযায়ী সমস্ত তথ্য ইডির কাছে হস্তান্তরও করছেন।’’ আইনজীবীর প্রশ্ন, তার পরও কেন হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে? প্রশান্তের মতে, জ্যাকলিনকে প্রতারণা করা হয়েছে। বলেন, ‘‘তদন্তকারী দলগুলো এ টুকুও বুঝতে পারছে না। জ্যাকলিন আরও বড় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শিকার।’’
মুম্বইয়ের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দিল্লি আদালতে বুধবারই জমা পড়েছে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অতিরিক্ত চার্জশিট। এত কিছুর পর নায়িকার তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে এই ঘটনার পর একটি লেখা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন জ্যাকলিন। যেখানে লেখা, ‘আমি শক্তিশালী…। সব ভাল জিনিস আমার প্রাপ্য। একদিন নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য দুই-ই পূরণ হবে। আমার সেই ক্ষমতা আছে।’
অবৈধ টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সুকেশ চন্দ্রশেখরে সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকেই ইডির নিশানায় অভিনেত্রী। বুধবারের ঘটনার পর নায়িকা চুপ থাকলেও মুখ খুলেছেন জ্যাকলিনের আইনজীবী প্রশান্ত। মুম্বইয়ের এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, ইডি অথবা আদালতে তরফে জ্যাকলিনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। অভিযোগের কোনও অনুলিপিও নায়িকার কাছে এসে পৌঁছয়নি।
প্রশান্ত আরও বলেন, “এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা অভিযোগের প্রতিলিপি জন্য আবেদন করব। একজন অভিযুক্তের এটি অধিকার।”