সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ
৯ লক্ষ টাকার পার্সি বিড়াল, ৫২ লক্ষ টাকার একটি ঘোড়া— এ রকমই মোট ১০ কোটি টাকার উপহার পেয়েছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। উপহারদাতা, প্রতারণায় অভিযুক্ত সেই সুকেশ চন্দ্রশেখর। সাম্প্রতিকতম চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এমনই দাবি করেছে।
আর্থিক প্রতারণার একটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে, এক ওষুধ সংস্থার প্রাক্তন মালিক শিবেন্দ্র সিংহ এবং মালবেন্দ্র সিংহের পরিবারের সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছিলেন সুকেশ এবং তাঁর স্ত্রী লিনা পল। সেই মামলায় গ্রেফতার হন দম্পতি। গত অক্টোবর মাসে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় ইডির তরফে একাধিক বার জেরা করা হয় জ্যাকলিনকে।
জ্যাকলিনের পাশাপাশি নোরা ফতেহির নামও রয়েছে সেই চার্জশিটে। জ্যাকলিন ছাড়াও তাঁর সহকর্মী এবং নোরাকেও জেরা করেছে ইডি। এর আগে সাংবাদিকদের সামনে সুকেশ দাবি জানিয়েছিলেন, তিনি নোরাকে গা়ড়ি উপহার দিয়েছিলেন।
সুকেশের আইনজীবী আগেই দাবি করেছিলেন, জ্যাকলিন এবং সুকেশ প্রেম করতেন। কিন্তু নায়িকার মুখপাত্র সে দাবি অস্বীকার করেছিলেন। তার পর দু’বার তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ পেয়েছে নেটমাধ্যমে। চার্জশিটে লেখা রয়েছে, সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের কথোপকথন শুরু হয় চলতি বছরের শুরুর দিকে। তার পরেই বলি-নায়িকাকে উপহার পাঠানো শুরু করেন সুকেশ।
চারটি পার্সি বিড়াল (যার মধ্যে একটির মূল্য ৯ লক্ষ টাকা), ঘোড়া, গয়নাগাটি, চিনামাটির তৈরি বাসনপত্র পাঠিয়েছেন সুকেশ। জানা যায়, সুকেশের সঙ্গে চেন্নাইতে চার বার দেখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার অভিনেত্রীর। ইডির দাবি, সুকেশ নাকি জ্যাকলিনের জন্য ব্যক্তিগত বিমানের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন যাতে তাঁদের দেখা করায় কোনও বাধা না পড়ে। তা ছাড়া সুকেশ জেলে থাকাকালীনও জ্যাকলিন তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন ফোনে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি নাকি আদালতকে এ কথাও জানিয়েছে, সুকেশ নায়িকার পরিবারকেও অর্থ সাহায্য করেছেন একাধিক বার।
সূত্রের দাবি, যেহেতু সুকেশের কারবারের সমস্ত তথ্য জেনে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন, তাই তাঁকে হাতে রাখার জন্য এত উপহার দিতেন সুকেশ।