দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। ফাইল চিত্র।
২০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় জালে কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর। আপাতত জেলেই ঠাঁই হয়েছে সুকেশের। তবে সুকেশের সঙ্গে নাম জড়ানোয় এখনও আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়িত বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়। সুকেশের ২০০ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলায় অভিনেত্রীর যোগ রয়েছে— এই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট গঠন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই বুধবার শুনানি ছিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। বুধবার সেখানেই হাজিরা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৮ এপ্রিল।
২০০ কোটির টাকার প্রতারণা মামলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর। প্রতারণা মামলায় তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা এবং ইডি। আপাতত, দিল্লির মন্ডোলি জেলে রয়েছেন সুকেশ। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ সুকেশের বিরুদ্ধে। সুকেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে ওই মামলায় নাম জড়ায় জ্যাকলিনেরও। অভিযোগ, জালিয়াতির টাকাতেই জ্যাকলিনকে নাকি একাধিক দামি উপহার কিনে দিয়েছিলেন সুকেশ। মামলা এত দূর গড়ায় যে, জামিন পর্যন্ত নিতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। যদিও জ্যাকলিন দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যে পরিচয় দিয়েই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সুকেশ। সুকেশের আসল পরিচয় সম্পর্কে নাকি কিছুই জানতেন না তিনি।
একই মামলায় নাম জড়িয়েছে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহি এবং চাহত খন্নার। তদন্তে জানা গিয়েছে, জালিয়াতির টাকা দিয়েই নাকি তাঁদেরও একাধিক দামি উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। যদিও সুকেশের কাছ থেকে উপহার নেওয়ার দাবি অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী নোরা ফতেহি।