বলা হয়, বলিউডে যত তাড়াতাড়ি সম্পর্ক দানা বাঁধে, তার থেকে অনেক দ্রুত সম্পর্ক ভেঙে যায়। বলিউডি ব্রেক আপের গল্পের ভাঁড়ারে কোনও দিন টান পড়ে না। সে রকমই একটা স্বল্পস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ২০১০-এ। সিংহলি সুন্দরী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের প্রেমে পড়েছিলেন পরিচালক সাজিদ খান।
সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য পা রেখেছেন জ্যাকলিন। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে তাঁর প্রেম নিয়ে চার দিকে গুঞ্জন। কিন্তু সেই গুঞ্জন ভেঙে দিয়ে দু’জনে সম্পর্ক থেকে সরে যান।
রীতেশের পরে জ্যাকলিনের জীবনে আসেন সাজিদ খান। মজার বিষয় হল, রীতেশের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল দু’জনের।
নবাগতা জ্যাকলিনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাজিদ। অপরিচিত ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি বন্ধুর মতো জ্যাকলিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বন্ধুত্ব থেকেই প্রেম। দু’জনের বয়সের ব্যবধান ছিল অনেক। কিন্তু বয়সের দূরত্ব প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
টিনসেল টাউনে যাতে জ্যাকলিনের পরিচিতি বাড়ে, তার জন্য সবসময় চেষ্টা করতেন সাজিদ। সে সময় সব পার্টিতে সাজিদের সঙ্গিনী ছিলেন জ্যাকলিন।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তাঁদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে বিয়ের পথে এগোচ্ছে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সেই ভুল ভেঙে যায়। ২০১৩-য় ব্রেক আপ হয়ে গেল সাজিদ-জ্যাকলিনের।
কিন্তু কেন তাঁদের সম্পর্ক বিয়ের মণ্ডপ অবধি পৌঁছল না? এই নিয়ে তাঁরা কোনও দিন মুখ খোলেননি। কিন্তু শোনা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাজিদ অত্যধিক পজেসিভ হয়ে পড়ছিলেন প্রেমিকাকে নিয়ে।
সাজিদ নাকি জ্যাকলিনকে হৃতিক রোশনের সঙ্গে অভিনয় করতেও নিষেধ করে দেন। ফলে কেরিয়ারে একটা বড় সুযোগ তাঁর জন্য জ্যাকলিন হারান বলে শোনা যায়।
ধীরে ধীরে জ্যাকলিনের মনে হয়, সাজিদের অতিরিক্ত অধিকারবোধের জেরে ক্ষতি হচ্ছে তাঁর কেরিয়ারে। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট বিবাদ হয়। শেষ অবধি সম্পর্ক থেকে সরে আসেন জ্যাকলিন।
পরে সাজিদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ব্রেক আপ-এর কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে পাঁচ মাস সময় লেগেছিল তাঁর। জ্যাকলিন অবশ্য কোনও দিন তাঁর আর সাজিদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি।
নিজের কেরিয়ারে জ্যাকলিন এখন ভাল অবস্থায়। কিন্তু কোরিয়োগ্রাফার ফারহা খানের ভাই সাজিদ এখনও বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেননি। সহঅভিনেতার ভূমিকাতেও তাঁর কেরিয়ারে সাফল্য এখনও অধরা।