একের পর এক ছবি ছাড়ছেন অক্ষয়। ছবি: সংগৃহীত।
পর পর ছবি ফ্লপ। আর তার জেরেই এই বছর কিছুটা জল মেপে পা ফেলতে চাইছেন অক্ষয় কুমার। কারণ, সূত্রের দাবি তিনি ‘গোর্খা’ ছবিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ২০২১ সালে এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন ছবির প্রযোজক আনন্দ এল রাই।
ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল ইয়ান কারডোজোর জীবনের আধারে তৈরি এই ছবিতে কারডোজোর ভূমিকায় অভিনয়ের কথা ছিল অক্ষয়ের। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে মারাত্মক আহত হন কারডোজো। যুদ্ধক্ষেত্রে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের অভাবে কুকরির (ছুরি) সাহায্যে একটি পা কেটে বাদ দেন তিনি।
২০২১ সালে ‘গোর্খা’ ছবির ঘোষণা করেন আনন্দ এল রাই। ছবি:সংগৃহীত।
কারডোজোর বীরগাথার অংশীদার হওয়ার কথা উল্লেখ করে অক্ষয় লিখেছিলেন, ‘‘কখনও কখনও এমন কিছু অসাধারণ কাহিনি আসে, যা থেকে ছবি তৈরি করতে ইচ্ছা করে। মেজর জেনারেল ইয়ান কারডোজোর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।’’
আগামী মার্চ মাস থেকে ছবিটি ফ্লোরে যাওয়ার কথা। কিন্তু কী এমন ঘটল, যে সঞ্জয় পুরণ সিংহ পরিচালিত এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ালেন অক্ষয়? বলা হচ্ছে কারডোজোর গল্পের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময়ের তাঁর সেনা সহকর্মীদের একাংশ। তাঁরা নাকি নির্মাতাদের সঙ্গেও এই প্রসঙ্গে দেখা করেছেন। অক্ষয় যে ভারতীয় সেনার প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাই এই কাহিনি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলেই তিনি নাকি আর এই ছবির অংশ হতে চাইছেন না।
এই প্রসঙ্গে অন্য একটি মতও ঘুরপাক খাচ্ছে মায়ানগরীর অন্দরে। সাম্প্রতিক অতীতে আনন্দ এল রাই পরিচালিত দুটি ছবিতে দেখা গিয়েছে অক্ষয়কে— ‘অতরঙ্গী রে’ এবং ‘রক্ষাবন্ধন’। দুটো ছবিই সেই অর্থে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আনন্দের সঙ্গে তিনি আর কাজ করতে চাইছেন না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অক্ষয় জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ায় তিনি ‘হেরা ফেরি’ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির তৃতীয় ছবিটি করছেন না। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয়ের পাঁচটি ছবি! ছবিগুলি পছন্দ হয়নি দর্শকদের। এই বছর কি একটু হলেও অনুরাগীদের প্রত্যাশা ভাবাচ্ছে খিলাড়ি কুমারকে? যথা সময়ে পাওয়া যাবে উত্তর।