গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ক্যান্ডল লাইট ডিনার বা ভরদুপুরের ভূরিভোজ, কখনও হোয়াট্সঅ্যাপে দীর্ঘ সময়, কখনও এয়ারপোর্টে বান্ধবীকে আনতে যাওয়া। ‘কাকাবাবু’-র শ্যুট ছাড়াও কলকাতায় এখন বেশ ব্যস্ত সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
কে এই নতুন বান্ধবী? ‘‘ঋতাভরীর সঙ্গে ‘চতুষ্কোণ’ থেকেই আলাপ। প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। নতুন কোনও আলাপ তো নয়!’’ সাফ জবাব সৃজিতের। আর ঋতাভরী? তিনি কী বলছেন? ‘‘গত তিন বছরে ভালবাসার চেয়ে সৃজিতের সঙ্গে ঝগড়া করেছি অনেক বেশি।’’
সেই ঝগড়া থেকেই কি তা হলে প্রেম? ‘বেগমজান’-এর পরিচালক সৃজিত এ বার কী তবে তাঁর বেগমের সন্ধানে? ‘‘আমার প্রেম হলে আমি তো বলে দিই। কোনও দিন লুকিয়ে কিছু করিনি! আজও করব না। স্বস্তিকার সময় তো সকলেই সব জানতে পেরেছিল। এ বারও যদি তেমন কিছু হয় জানা যাবে। আমি আর ঋতাভরী দু’জনেই খুব খেতে ভালবাসি। সেই কারণেই একসঙ্গে খেতে গিয়েছি আমরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটাকে ভরপুর প্রেম বলা যায় না,’’ বলছেন সৃজিত।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
ঋতাভরী তাঁর প্রেম প্রসঙ্গে প্রথমে মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন। তাঁর নাকি কিছুই বলার নেই! তবে ফোনের ওপারে সব কথাতেই হেসে উঠছিলেন। ‘‘বিষয়টা এতটাও সিরিয়াস কিছু নয়। কারও সঙ্গে ঘুরলে বা খেতে গেলেই প্রেম হয়ে যায় না। আমরা তো ঝগড়াও করি। মানে এখনই প্রেম, বিয়ে, বাচ্চা...’’ বলেই থেমে গেলেন ঋতাভরী। তবে মুম্বই থেকে কলকাতা ফেরার সময় সৃজিত তাঁকে এয়ারপোর্টে আনতে গিয়েছিলেন এ খবর সত্যি বলে মেনে নিলেন তিনি।
অল্প দেখা, অনেক কথা, ঝগড়া খুনসুটি… তা হলে ‘ম্যায় অউর মেরি তনহায়ি’ মোড থেকে বেরিয়ে সৃজিত এখন ‘ম্যায় অউর মেরি গার্লফ্রেন্ড’ মোডে!