কিছু দিন আগেই প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, দর্শকেরা আগ্রহী হয়েও তাঁর অভিনীত ছবি ‘শ্রীমতী’ দেখতে পাচ্ছেন না প্রযোজনা সংস্থার চক্রান্তে। একই সুর এ বার পরিচালক শৈবাল মিত্রের কথাতেও। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পরিচালকের ক্ষোভ, ‘‘আমার ছবি ‘হোলি কন্সপিরেসি’ নিয়েও দর্শকমহলে আগ্রহ যথেষ্ট। কিন্তু বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে শো পাচ্ছে না ছবিটি। ফলে, সেখানকার দর্শকেরা বঞ্চিত।’’ এবং এখানেও ছবি-মুক্তির দায়িত্বে এসভিএফ।
পরিচালকের আরও অভিযোগ, বোলপুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থান। সেখানে শিক্ষিত দর্শকের সংখ্যা বেশি। অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের ছবি দেখতে ভালবাসেন। তাঁদের কথা ভেবেই পরিচালকের ‘বুকার’ দেবাশিস শিকদার কথা বলেছিলেন গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহের ‘বুকার’ দেবাশিস সরকারের সঙ্গে। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর জন্য অর্থ খরচ করতে আপত্তি ছিল না শৈবালের। এত আবেদন-নিবেদনের পরেও জায়গা পায়নি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত ছবিটি।
আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল এসভিএফের বুকারের সঙ্গে। কী বলছেন তিনি? দেবাশিসের দাবি, তিনি শহরের বাইরে। ফলে, বিষয়টি নিয়ে কিচ্ছু বলবেন না। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল এসভিএফের কলকাতার মুখপাত্রের সঙ্গেও। তাঁরও মুখে কুলুপ। এ দিকে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ না পাওয়া নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র এবং পরিচালক অনীক দত্ত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পরমব্রতের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা পরমব্রতর তাই নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। সেই সময় গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে যে ছবি চলছিল সেটি সরানো সম্ভব ছিল না। সেটা তিনি বুঝেছিলেন।
অনীকের কথায়, ‘‘প্রেক্ষাগৃহ না দেওয়ার নেপথ্যে নানা কারণ থাকতে পারে। সরকারি চাপ? না কি সরকার-ঘনিষ্ঠ প্রযোজনা সংস্থার কারসাজি? জানি না।’’ তাঁর আরও মত, যখন নিজের সমস্যা তৈরি হয় তখন সবাই মুখ খোলেন। এটা করলে কোনও দিন সমস্যার সমাধান হবে না। দুর্নীতি ছড়িয়ে গিয়েছে বিনোদন দুনিয়ার অনেকটাই গভীরে। এর মোকাবিলা করতে গেলে একজোট হতে হবে সবাইকে।