সদ্য মু্ক্তি পাওয়া ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ সিনেমার চিত্রনাট্যকার কণিকা ঢিলোঁ নিজেই নাকি জাজমেন্টাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন দিয়া মির্জা আর সাহিল সঙ্ঘার মাঝে। কণিকার জন্যই নাকি ভেঙে গিয়েছে ১১ বছরের সম্পর্ক। বলিউডে গুঞ্জন সেরকমই। কণিকার সঙ্গে সাহিলের পরকীয়া জানতে পেরেই দিয়া বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। দাবি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের।
বৃহস্পতিবারই দিয়া ইনস্টাগ্রামে জানান, তিনি আর সাহিল বিয়ে ভাঙছেন। কারণ কিছু জানাননি। তবে এইটুকু বলেছিলেন যে তাঁরা ভবিষ্যতেও বন্ধু থাকবেন। দু’জনে দু’জনের পাশে দাঁড়াবেন। সবাইকে অনুরোধ করেছেন তাঁদের প্রাইভেসিকে সম্মান করার জন্য।
দীর্ঘ প্রেম ও লিভ ইন-এর পরে বিয়ে করেছিলেন দিয়া ও সাহিল। দু’জনে বিজনেস পার্টনারও ছিলেন। এরকম পাওয়ার কাপলের মধ্যেও যে বিচ্ছেদের ঘুণপোকা ঢুকেছে, কেউ বুঝতে পারেনি। বলিউডি গুঞ্জন, এক মাস আগে দিয়া জানতে পারেন কণিকা আর সাহিল ডেট করছেন। তারপরেই নাকি দিয়া আর সাহিলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি কণিকা একজন সাহিত্যিক। এখনও অবধি প্রকাশিত হয়েছে তিনটি উপন্যাস। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ এবং লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর প্রাক্তনী, অমৃতসরের মেয়ে কণিকার সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার হাতেখড়ি শাহরুখ খানের সংস্থা ‘রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট’-এ।
২০০৭-এর ছবি ‘ওম শান্তি ওম’-এর ইউনিটে কণিকা ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। তার পরে ‘বিল্লু’ ছবিতে স্ক্রিন সুপাইভাজার। ‘রা ওয়ান’ ছবিতে স্ক্রিন প্লে ও ডায়ালগ বিভাগে। গত বছর ‘কোদারনাথ’ ও ‘মনমর্জিয়াঁ’ ছবিতে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছিল। কণিকা কাজ করেছেন তামিল, তেলুগু ছবিতে এবং দু’টি টেলিভিশন সিরিজেও।
একতা কপূর প্রোডাকশনের ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ মুক্তি পেয়েছে গত ২৬ জুলাই। ছ’দিনে প্রায় তিরিশ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
বছর দুয়েক হল কণিকার প্রথম বিয়ে ভেঙেছে। ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ ছবির পরিচালক প্রকাশ কোভালমুড়ি ছিলেন তাঁর স্বামী। বিয়ে ভাঙার পরেও প্রকাশ আর কণিকা দু’জনে এই ছবিতে কাজ করেছেন একসঙ্গে।
পরিচালক প্রকাশ ইতিমধ্যে বলতে চেয়েছেন কেন তিন বছরের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে ভেঙে গেল। কিন্তু কণিকা কোনওদিন এই বিষয়ে এক বারের জন্যেও মুখ খোলেননি।
২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন প্রকাশ-কণিকা। দু’জনের সংসার ছিল হায়দরাবাদে। বিয়ের এক বছর পরেই কণিকা চলে যান মুম্বইয়ে। প্রকাশ হায়দারাবাদেই থেকে যান। তিনি জানিয়েছিলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত দু’জনে একসঙ্গে নিয়েছেন। বিয়ের পরে বন্ধুত্বও অটুট রাখবে বলেছিলেন। রেখেওছেন তাই।
সাহিল-দিয়াও বিয়ে করেছিলেন ২০১৪ সালেই। তাঁদের বিচ্ছেদে হতচকিত ইন্ডাস্ট্রি। শোনা যাচ্ছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ডেটিং চলছিল সাহিল-কণিকার। জানার পরে দিয়া আর একসঙ্গে থাকতে চাননি। তবে এই নিয়ে তাঁরা মুখ খুলবেন না বলেই জানিয়েছেন।