মেঘান
লকডাউন মানেই সবার কপালে ভাঁজ। কাজ, বাইরে বেরনো বন্ধ। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, সময় কাটবে কী করে? এ দিকে সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভাঙতে সাময়িক বিরতি ছাড়া গতি নেই। টেলিপাড়ার অভিনেতা, কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিচালক ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু ছোট পর্দার শিশুশিল্পীরা? তারা কী বলছে? কেমন কাটছে তাদের দিনগুলো? তারই ঝলক উঠে এসেছে ‘ফেলনা’ ওরফে মেঘান চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বড্ড মনখারাপ তার। অকপটে জানিয়েছে সে, ‘বার্বি, কিচেন সেট, খেলার জিনিসগুলো একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে’।
পোস্টের শুরুতেই মেঘানের স্বীকারোক্তি, ‘আর কি ভাল লাগে?’ জানিয়েছে, লকডাউনের পাশাপাশি তার মনখারাপ বাবার জন্যও। মেঘানের বাবা সদ্য করোনামুক্ত। এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁর। ইনস্টাগ্রামে সে খবরও অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে সে। মেঘানের কথায়, আরও অনেক কাকু, জেঠু, দিদি করোনার সঙ্গে লড়তে লড়তে হেরে গিয়েছেন। এই খবরগুলোও তার মনখারাপ করে দিয়েছে।
এই সময় মেঘানের মনে পড়ছে বন্ধুদের সঙ্গে হুটোপাটি করার কথা। ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে খেলার মাঠে। সঙ্গে সঙ্গে তার আফসোস, ‘বন্ধুদের সঙ্গে খেলা? সে তো ২ বছর ধরেই নেই। দা-ভাই এর উঁচু ক্লাস। পড়া বেশি। তাই খেলার সময় কম। শিক্ষিকাদের সঙ্গে ভাল করে কথা বলব কী করে ক্লাসের মধ্যে?’ কেউ এখন আর কারোর বাড়ি যেতে পারে না। তাই পড়াশোনা হয়ে যাওয়ার পরে মেঘানকে নিজের ঘরে বসে নেটমাধ্যমে ছোটদের ছবি, সিরিজ বা কার্টুন দেখতে হয়। নয়তো খেলনা নিয়ে একা বসে খেলে যেতে হয়। ‘এ সব আর কত দিন ভাল লাগে?’ প্রশ্ন তার।
২০২০-তেও এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল মেঘান সহ সমস্ত শিশুশিল্পীদের। তাদের সুস্থতার কথা ভেবে ফেডারেশনের নির্দেশ ছিল, ১০ বছরের কমবয়সি শিশুশিল্পীরা শ্যুটিং করতে পারবে না। মেঘান তখন অভিনয় করছিল স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ ধারাবাহিকে। ছোট ‘বিনি’র চরিত্রে।