দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে কিয়ান
বড় ঝড় উঠতে চলেছে স্বরূপনগরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে। স্টার জলসার ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের ফ্যান পেজ তেমনটাই বলছে। ‘রাজা-মাম্পি’র পাশাপাশি ফের গল্প ঘুরতে চলেছে বাড়ির এই প্রজন্মের ছোট ছেলে ‘কিয়ান’-এর দিকে। ধারাবাহিক বলছে, দর্শকেরা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে এসিপি সাহেব কিয়ানের মা অন্তরার পূর্ব পরিচিত। সহকারী পুলিশ কমিশনার নিজে জানিয়েছেন, বিয়ের আগে তাঁর সঙ্গে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক ছিল অন্তরার। অন্তরার স্বামী বিক্রমজিৎকে ঠাট্টাচ্ছলে এ কথাও বলেছেন, তিনি মুখোপাধ্যায় পরিবারের মেজ ছেলের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’! হুঁশিয়ার করেছেন বিক্রম-অন্তরাকে, কিয়ান-নোয়াকে শান্তিতে সংসার করতে না দিলে তার ফল ভুগতে হবে তাঁদের।
এই জায়গা থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকেরা, কিয়ানের উপর কেন এত অধিকারবোধ এসিপি সাহেবের? বাড়ির কর্তা অমিত্রশেখরের ছোট নাতি কি বিক্রমের সন্তান নয়! অন্তরা-পুলিশ কমিশনারের ভালবাসার ফসল? একই সঙ্গে ৪ জনের একটি ছবির কোলাজ ভাগ করে নেওয়া হয়েছে ধারাবাবহিকের ফ্যান পেজে। সেখানে ছবি সম্বন্ধে মন্তব্যও করা হয়েছে, ‘তবে কি এখানে রয়েছে জন্মরহস্য??? কিয়ান কি তবে...!!’ যদিও এই দ্বন্দ্বের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামত। কেউ বলেছেন, ‘অন্তরার স্বামী কি নির্বোধ? হবু স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এ কথা বিয়ের আগে বুঝতে পারেননি বিক্রমজিৎ?’ বেশির ভাগের দাবি, ‘এ রকম অনেক ঘটনা হয়’।
ধারাবাহিকে কি দর্শকদের এই ভাবনার কোনও উত্তর লুকিয়ে রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ‘দেশের মাটি’-র কেউই। তবে ইতিমধ্যে সম্প্রচারিত পর্ব অনুযায়ী, অন্তরার একটা ‘অতীত’ আছে এ কথা দর্শকেরা জেনে গিয়েছেন। এসিপি সাহেবের ‘প্রাক্তন’ যে বাড়ির মেজ বৌ, এমনটাও আভাসে-ইঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। এও বলা হয়েছে, বরাবরের উচ্চাকাঙ্ক্ষী অন্তরা। বিক্রমজিতের সঙ্গে বিয়ে হলে বিদেশ যেতে পারবে, এ কথা জানার পরেই সম্ভবত সে সরে আসে এসিপি সাহেবের জীবন থেকে। পরে ঘটনাচক্রে দায়িত্ব নিয়ে স্বরূপনগরে পা রাখেন সহকারী পুলিশ কমিশনার। যিনি কিয়ানের স্ত্রী নোয়াকে স্নেহ করেন। অনেক বিপদ থেকেও রক্ষা করেছেন। এবং আন্তরিক ভাবে চান, কিয়া-নোয়া সুখী হোক।