শরীরচর্চার খেয়াল রাখতে রাখতেই হৃদয়ের কাছাকাছি। আমিরকন্যার ফিটনেস ট্রেনারই এখন তাঁর মনের মানুষ। প্রেমের সপ্তাহে প্রমিস ডে তে ইরা খান নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
শরীরচর্চার প্রশিক্ষক নূপুর শিখরের সঙ্গে অনেক দিনই ছবি শেয়ার করছিলেন ইরা। এর আগে বলেছিলেন, নূপুরের উপস্থিতি তাঁকে খুশি করে। তার পর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক ঘিরে বাড়ছিল জল্পনা।
অবশেষে সব রহস্য দূর করে ইরা জানান, নূপুরই তাঁর ভ্যালেন্টাইন। শোনা গিয়েছে, এর আগে আমির খানকেও শরীরচর্চায় প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন নূপুর।
নূপুরের সঙ্গে ইরার পরিচয় অনেক দিনের। কিন্তু ঘনিষ্ঠতার বয়স বেশি নয়। গত বছর দীর্ঘ লকডাউনে শরীরচর্চায় আগ্রহী হন ইরা। সে সময় তিনি নূপুরের সাহায্য নেন।
নূপুর এবং ইরা দু’জনেই তাঁদের একসঙ্গে শরীরচর্চার ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বলিউডে তারকামহলে নূপুর পরিচিত নাম। এর আগে এক দশকেরও বেশি সময় সুস্মিতা সেনের ফিটনেস ট্রেনার ছিলেন তিনি।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানোই নয়। শোনা যাচ্ছে, মায়ের সঙ্গেও নূপুরের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ইরা।
গত বছর বড়দিন, দীপাবলি-সহ বেশ কিছু উৎসব একসঙ্গে উদ্যাপন করেছেন নূপুর এবং ইরা।
খান পরিবারের সদস্য জায়ান খানের বিয়েতেও আমন্ত্রিত ছিলেন নূপুর। সে সময়ও নিজেদের ছবি শেয়ার করেছিলেন ইরা।
সম্প্রতি আরও একটা ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে ইরার। জীবনের প্রথম ট্যাটু এঁকেছেন তিনি। এবং সেই শিল্পকর্ম তিনি করেছেন নূপুরের বাহুতে।
সেই ছবিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ইরা। তাঁর উপর বিশ্বাস রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন নূপুরকে। সঙ্গে ইরার রসিকতা, তাঁর মনে হয় কাজ না থাকলে ট্যাটু আঁকাই বিকল্প পেশা হতে পারে।
ফিটনেস ট্রেনারের পাশাপাশি নূপুর একজন নৃত্যশিল্পীও। এর আগে তিনি নাচের ভিডিয়ো শেয়ারও করেছেন। এ রকমও শোনা যাচ্ছে, আমির এবং কিরণ রাওয়ের বিবাহবার্ষিকীতেও নিমন্ত্রিত ছিলেন নূপুর। গত বছর ডিসেম্বরে গির অরণ্যে আয়োজিত হয়েছিল সেই অনুষ্ঠান।
নূপুরের ইনস্টা হ্যান্ডলের নাম ‘পপাই’। বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র ‘পপাই দ্য সেলর’-এর নামে। ইরাও তাঁকে এই নামেই ডাকেন। ইরার কথায়, তাঁর সম্পূর্ণ জীবনই পাল্টে দিয়েছেন ‘পপাই’।
এর আগে ইরার সম্পর্ক ছিল সঙ্গীতশিল্পী তথা সঙ্গীতকার মিশাল কৃপালনীর সঙ্গে। এর আগে নেট মাধ্যমে মিশালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানিয়েওছিলেন ইরা। পোস্ট করেছিলেন দু’জনের ঘনিষ্ঠ ছবিও। পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের কারণ অবশ্য জানা যায়নি।
সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে নিয়েও ইরা বরাবর অকপট। গত বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে ইনস্টাগ্রামে মানসিক অবসাদ সম্পর্কে সচতনতার বার্তা দিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ইরা। সেখানেই তিনি জানান, গত ৪ বছর ধরে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
এই পোস্টের পরেই একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য উড়ে আসে ইরার দিকে। এর পর সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলারদের কড়া ভাষায় সতর্ক করেন তিনি। জানিয়ে দেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর পোস্টে খারাপ মন্তব্যের কোনও জায়গা নেই। তৎক্ষণাৎ তিনি সেই মন্তব্য ডিলিট করে দেবেন অথবা কোনও ব্যক্তি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁর ইনস্টাগ্রাম আকাউন্টে সেই ব্যক্তির প্রবেশ সীমাবদ্ধ করে দেবেন।
ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের কাছে তাঁর পোস্ট থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং কুরুচিকর মন্তব্য মুছে দেওয়া উচিত কিনা জানতে চেয়ে একটি পোল তৈরি করেন। সেখানে ৫৬ শতাংশ মানুষ ইরার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান।
২০০২ সালে আমির-রীনার বিয়ে যখন ভেঙে যায়, ইরা তখন ৪ বছরের শিশু। এর পর রীনাই কার্যত সিঙ্গল পেরেন্ট হয়ে বড় করেন ইরা এবং জুনেইদকে। তবে আমির এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণের সঙ্গেও ইরা ও জুনেইদের সম্পর্ক ভাল।
মাঝে মাঝেই ইরার ছবিতে মুগ্ধ হন নেটাগরিকরা। ইতিমধ্যে বিনোদন মঞ্চেরও অংশ হয়েছেন তিনি। গত বছর তিনি নাটক পরিচালনা করেছেন। তাঁকে হিন্দি ছবিতে দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন অনুরাগীরা।