বিচ্ছেদ নিয়ে বললেন ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
গুঞ্জন আগেই ছিল, দিন কয়েক আগে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করে ফেলেছেন ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। অভিনেতা অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে টেলি অভিনেত্রী। কেমন আছেন অভিনেত্রী? ‘জল থইথই ভালবাসা’ ধারাবাহিক শেষ। কী ভাবে সময় কাটাচ্ছেন? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। অল্প হেসে ইপ্সিতা বললেন, “সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা এত সহজ নয়। ভেঙে যাওয়ার পরেও রেশ থেকে যায়।” তবে আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন তিনি। নিজেকে বেশি করে সময় দিচ্ছেন।
প্রেমের সম্পর্ক থেকে এক ছাদের নীচে থাকার সিদ্ধান্ত, বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন? ভণিতা না করেই ইপ্সিতার জবাব, “বিয়ের ছ’মাসের মাথায় বুঝতে পেরেছিলাম, অনেক কিছু ঠিক নেই। সমস্যা হচ্ছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিই আমরা, আইনি বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসব।” তিনি আরও যোগ করলেন, “এর পর সমস্যার সূত্রপাত যাদের কারণে, তারা এগিয়ে আসে। আশ্বাস দেয়, পরিস্থিতি বদলে যাবে। আমরাও ঠিক করি, আরও এক বার চেষ্টা করে দেখা যাক।” সেই চেষ্টা আপ্রাণ করেছেন ইপ্সিতা। কিন্তু চিড় খাওয়া দাগটা রয়েই গিয়েছে। হাজার চেষ্টা করেও মোছা সম্ভব হয়নি, জানালেন অভিনেত্রী। তখনই উভয়ে ঠিক করেন, সম্পর্কের বোঝা বয়ে বেড়ানোর কোনও অর্থ নেই।
এই সিদ্ধান্তের পরেই তাঁরা আলাদা থাকছেন। সময়টা গত বছরের শেষের দিকে। এ দিকে দু’জনে একই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তখন! কথা কেড়ে নিয়ে অভিনেত্রীর জবাব, “হ্যাঁ, বাস্তবে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু ধারাবাহিকে আমরা দেওর-বৌদি। ধারাবাহিকের কারণেই মুখ বন্ধ করে থেকেছি এত দিন। যাতে টিআরপি-তে ছাপ না পড়ে। চ্যানেলের অনুষ্ঠানে জুটি বেঁধে নেচেছি। তার জন্য নিয়মিত একসঙ্গে মহড়া দিতে মনের উপরে খুব চাপ পড়ত। বলতে পারেন, অভিনেত্রী হওয়ার মাসুল গুনেছি যেন!” ইপ্সিতার দাবি, সাধারণ মানুষ সহজে তাঁদের বিচ্ছেদের কথা জানাতে পারেন। কিন্তু পেশার কারণে দিনের পর দিন সব আড়াল করে বাস্তবেও অভিনয় করে যেতে হয়েছে তাঁকে।
তখনও দম্পতি, অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ধারাবাহিক শেষ। চ্যানেলের অনুষ্ঠান ফুরিয়েছে। অর্ণব-ইপ্সিতাও প্রকৃত সত্য সামনে এনেছেন। অর্ণব নতুন চরিত্রের অন্য ধারাবাহিকে। অভিনেত্রীর মতে, খুব ভাল চরিত্র না পেলে এখনই তিনি ক্যামেরার সামনে না-ও আসতে পারেন। নিজেকে সময় দিচ্ছেন, নিজের যত্ন নিচ্ছেন। যাতে অতীতের সব দাগ মন থেকে মুছে যায়। নতুন জীবনের কথা ভাবছেন? ইপ্সিতার জবাব, “ভাবব। তার জন্য সময় লাগবে। আমরা মেয়েরা তো পরকেই আপন বলে আঁকড়ে ধরি। আমিও সেটাই করেছিলাম। পরের বার যাতে আর কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য ভাল করে সব দেখে বুঝে নিতে হবে।” আপাতত তাই মা-বাবা আর ঈশ্বর— এই নিয়েই তাঁর শান্তির সংসার।