মল্লিকা শেরাওয়াত।
প্র: ‘মার্ডার’-এর মল্লিকা আর এখনকার মল্লিকার মধ্যে কোনও তফাত আছে?
উ: আমার কাছে মেন্টাল হ্যাপিনেস খুব জরুরি। আজ নয়, বহু বছর ধরে যোগাসন অভ্যেস করছি। এমন অনেক আসন করি, যাতে অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস পাওয়া যায়। খুশি থাকার আরও একটা বড় কারণ, দাদার ছেলে রণশের। খুব সুইট! ওকে নিয়ে এ বার কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছিলাম। ওর সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভাল লাগে।
প্র: একতা কপূর, তুষার কপূর, কর্ণ জোহর সারোগেসির সাহায্যে অভিভাবক হয়েছেন। আপনারও কি মা হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে?
উ: একদম নয়। শুধু বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে, খেলতে ভাল লাগে। মা হওয়া অনেক বড় দায়িত্ব। সে সব আমার দ্বারা হবে না।
প্র: কমার্শিয়াল ছবিতে আপনাকে অনেক দিন দেখা যায় না। কিন্তু আপনাকে নিয়ে দর্শকের কৌতূহল রয়েছে...
উ: ইটস গুড টু বি মিসড! নিজেকে রিইনভেন্ট করতে চাই। লস অ্যাঞ্জেলেস, মুম্বই, লন্ডন— এই তিন জায়গায় এখন বেশি থাকি। আপাতত মুম্বইয়ে আছি। কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। রজত কপূরের পরিচালনায় একটি ছবি করেছি, যেখানে আমাকে পুরনো দিনের এক অভিনেত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে। ছবির নাম ‘আরকে/আরকে’। রজত বড় মাপের অভিনেতা ও পরিচালক। আমাকে যখন ছবির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, অবাক হয়েছিলাম।
প্র: মল্লিকার এখন রিলেশনশিপ স্টেটাস কী?
উ: আই অ্যাম সিঙ্গল অ্যান্ড হ্যাপি। মেয়েদের জন্য অনেক কাজ করছি। এ সবে খুব ব্যস্ত থাকি। ‘ফ্রি আ গার্ল’-এর ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর আমি। ভারতে মেয়েদের অবস্থা খুব খারাপ। সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ। আমি রিসার্চ করেই কথাগুলো বলছি। আর আমাদের দেশ নাকি পুরুষোত্তম রামের দেশ! আমাদের সংস্থা মেয়েদের দেহব্যবসা থেকে উদ্ধার করে ওকালতি পড়াচ্ছে। ওরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। কলকাতায় সংস্থা আছে। মুম্বইয়ে কাজ শুরু করছি।
প্র: ওয়েব সিরিজ়ে কী ভেবে ডেবিউ করলেন?
উ: একতা কপূরের সঙ্গে কাজের সুযোগ এর আগে আসেনি। যখন প্রস্তাবটা পেলাম, ভাল লাগল। সিরিজ়ের নাম ‘বু... সব কী ফটেগি’। ভূতের চরিত্র আগে করিনি। একতা ইজ় সো ইনস্পায়ারিং! ওকে দেখে অনেক কিছু শেখার আছে।
প্র: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বোল্ড কনটেন্ট যেমন দেখানো হচ্ছে, তেমনই শরীরী প্রদর্শনও চলছে। আপনার কি আপত্তি আছে?
উ: আমাকে কী অফার করা হচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করছে। কারণ ছাড়া এক্সপোজ় করার কী মানে? দায়িত্ব সকলের নেওয়া উচিত। তা ছাড়া দর্শক দেখছেন। চাহিদা আছে বলেই তো জোগান রয়েছে!