প্র: ‘ভারত’ ছবিটিতে আপনার এন্ট্রি অনেক পরে হয়। তাই নিয়ে দোলাচলে ছিলেন?
উ: এ সব নিয়ে আমি ভাবি না। আলি (আব্বাস জ়াফর) যখন আমাকে প্রথম ছবির চিত্রনাট্য শোনায়, আমি ওকে কল করে বলেছিলাম, ওর লেখা সবচেয়ে ভাল স্ক্রিপ্ট এটা। এবং আমি অবশ্যই কাজ করতে চাই। হ্যাঁ, ‘টাইগার জ়িন্দা হ্যায়’-এর পরে টেকনিক্যালি আমার আর সলমনের হয়তো ঠিক পরের ছবিতে কাজ না করলেই ভাল হতো। আর সেই কারণেই ছবিটা প্রথমে প্রিয়ঙ্কার (চোপড়া) কাছে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ভাগ্যে ‘ভারত’ ছিল।
প্র: বক্স অফিস সাফল্য, দর্শকের ভালবাসা না কি অ্যাওয়ার্ড... ক্যাটরিনার কাছে কোনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
উ: সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল দর্শকের ভালবাসা। ওঁরা ভালবাসলেই ছবি হিট করে। শুধু মাত্র অ্যাওয়ার্ড নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট থাকতে পারে কি? আমরা তো ছবি বানাই দর্শকের জন্য। ওঁদের ভালবাসার পরে অন্য সবই আমার কাছে বোনাস।
প্র: আউটসাইডার থেকে ১৬-১৭ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেললেন। পিছনে ফিরে তাকান?
উ: আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত হয়েছি। অনেক উন্নত হয়েছি। একটা সময় ছিল যখন আমি ‘শীলা কি জওয়ানি’র মতো গানে উদ্দাম নেচেছি বা ‘ধুম থ্রি’র মতো ছবিতে গ্ল্যামারাস চরিত্র করেছি। এখন এমন চরিত্র আকর্ষণ করে, যা আমাকে চ্যালেঞ্জ করবে। আমি খুশি যে প্রযোজক, পরিচালকরা আমার কথা ভাবেন এবং সুযোগ দেন। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এখনও আমি নিজেকে বহিরাগত ভাবি কি না? তাঁদের বলি, তখনও
আমি বহিরাগত ছিলাম না, এখনও নই। দিস ইজ় মাই ইন্ডাস্ট্রি।
প্র: আপনার হিন্দি উচ্চারণ নিয়ে অনেক ঠাট্টা হতো। সেই জায়গাটা কি পার করতে পেরেছেন?
উ: হ্যাঁ, তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার প্রত্যেক ছবির সঙ্গে একজন ভাষা শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তবে একটা কথা আমিও বলতে চাই। আমার ফার্স্ট ল্যাংগোয়েজ ইংরেজি। হলিউড স্টার পেনেলোপে ক্রুজ় এত বছর আমেরিকায় থাকার পরেও তাঁর ইংরেজিতে হালকা স্প্যানিশ টান আছে। এটা স্বাভাবিক। তবে হিন্দি ভাষায় আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি দখল এসেছে আমার।
প্র: শোনা যাচ্ছে, আপনি পিটি ঊষার বায়োপিক করছেন, শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘সত্তে পে সত্তা’র রিমেকেও কাজ করছেন...
উ: এই মুহূর্তে এ সব নিেয় আমি কিছুই বলতে পারব না। ‘সত্তে পে সত্তা’র কথা এক্ষুনি আপনার কাছ থেকেই জানলাম।
প্র: সলমন খানের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি কী শিখেছেন?
উ: হি ইজ় ফিয়ারলেস। ক্রিটিসিজ়ম, নেগেটিভ কমেন্ট— কোনও কিছুই সলমনকে নাড়া দেয় না। এটা বিরাট গুণ। একটা সময় ছিল যখন নিজের সম্পর্কে কিছু খারাপ কথা পড়লেই মন খারাপ হয়ে যেত। সলমনকে নেগেটিভ খবর লিখে প্রভাবিত করা যায় না।
প্র: আর আপনার কাছ থেকে কোন জিনিসটা শেখার মতো?
উ: আমার মতে, চটপট কিছু শিখে নেওয়া বা অ্যাডাপ্ট করার ক্ষমতা। এটা পারি, কারণ আমার বিশ্বাস, আমি যে কাজটা করি, সেই একই জিনিস করার আরও ভাল কিছু পন্থা থাকতে পারে। এটা মেনে নিলে অনেক বেশি শেখা যায়।
প্র: জন্মদিন আসছে। কোনও স্পেশ্যাল প্ল্যান রয়েছে আপনার?
উ: গোটা বছরে জুলাই মাসটা আমার খুব প্রিয়।
তবে স্পেশ্যাল প্ল্যান ইত্যাদি সব নির্ভর করছে ‘ভারত’ রিলিজ়ের পরে আমার মুড কেমন থাকবে, তার উপরে (হেসে)।