মনামির সঙ্গে সৈয়দ আরেফিন।
আকাশের জীবনে কী ঘটছে এখন?
অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আকাশ ও ইরাবতী পাঁচ বছর পর একসঙ্গে থাকতে পারছে। একসঙ্গে সংসার করছে। এখন গল্পে যে মূল ক্রাইসিস চলছে... ইরাবতীর বোন তিস্তাকে আকাশের ভাই নীল ভালবাসে। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে নীল শালিনীকে ভালবাসার অভিনয় করছে।তার উদ্দেশ্য হল তিস্তা যেন জেলাস ফিল করে। কিন্তু শালিনী সত্যি সত্যি নীলকে ভালবাসতে শুরু করেছে। এদিকে নীল তিস্তাকে বিয়ে করতে চায়। সেজন্য শালিনীর মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। এখন আকাশ আর ইরা চেষ্টা করছে এরকম একটা জটিল বিষয়ের সমাধান কী ভাবে করা যায়, কী ভাবে শালিনীকে ঠিক রেখে নীল আর তিস্তার বিয়ে দেওয়া যায়।
ইরাবতী, মানে মনামির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
মনামি যেহেতু খুব এক্সপেরিয়েন্সড, ওর থেকে অনেককিছু শিখতে পারি। আমি যেহেতু ওর থেকে নতুন, তাই যে কোনও সিন কী ভাবে মডিউলেশন করতে হয়, কী ভাবে সংলাপ বলতে হয় আমি জানতে চাইলে সব সময় সাজেশন দেয়।
মনামি একটা ইন্টারভিউয়ে আপনার বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক খুব হ্যান্ডসাম...’
থ্যাঙ্কিউ। শুধু মনামি নয়, ছোট থেকেই আমাকে সবাই এরকম বলে (হাসি)।
শুটের ফাঁকে কী আলোচনা করেন মনামির সঙ্গে?
ফিল্ম নিয়ে কথা হয়। আর সবাইকে যেমন বলি মনামিকেও আমার স্বপ্ন নিয়ে বলি। ও অ্যাপ্রিসিয়েট করে।
আরও পড়ুন-শাশ্বত নন, বব বিশ্বাসের চরিত্রে অভিষেক! জোর চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায়
আপনার স্বপ্ন কী?
আমার মনে হয় হিরো হওয়ার যে যে গুণ দরকার সেগুলো আমার মধ্যে আছে। হিরো হওয়াই আমার স্বপ্ন। কিন্তু এখনও হইনি।
হিরো আসলে কী রকম?
হিরো এমন এক জন যে রাস্তা দিয়ে গেলে সবাই একবার ঘুরে তাকাবে। তারপর তো তাকে অ্যাক্টিং করতে হবে, ডান্স করতে হবে, অনেক কোয়ালিটি থাকতে হবে। তারমধ্যে সবাই ঘুরে তাকাবে, এই কোয়ালিটিটা থাকতেই হবে।দ্যাটস হোয়াই হৃত্বিক রোশন ইজ আ সুপারস্টার...সলমন খান, টাইগার শ্রফ... এক্স ফ্যাক্টর থাকতেই হবে।
তাহলে ঋত্বিক চক্রবর্তী, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি, আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও?
এঁরা ভেরি গুড অ্যাক্টর। নট আ সুপারস্টার।
সৈয়দ আরেফিন
কিন্তু সুপারস্টাররাও এঁদেরই অনুসরণ করছেন, নিজেদের ভাঙছেন।
অবশ্যই নিজেকে ভাঙতে হবে। কিন্তু টলিউডে সেই ট্রেন্ড এখনও আসেনি।
আপনার ‘ইরাবতী’ অব্দি পৌঁছনোর যাত্রাপথ কেমন?
সবাই স্ট্রাগল করে। আমিও করেছি। কিন্তু কোনও জিনিস সহজে পাইনি। আজ আমাকে সবাই বলে হ্যান্ডসাম, সুন্দর অ্যাক্টিংকরে, সব গুণ আছে... সত্যি যদি তাই হয় তাহলে অনেক আগেই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেই ২০১০ থেকে স্ট্রাগল করে যাচ্ছি। প্রথমে একটা সিরিয়াল করেছিলাম ‘যুগান্তর’ বলে। তারপর ‘রাশি’। কিন্তু ‘ইরাবতী’ নায়ক হিসেবে আমার প্রথম সিরিয়াল। অনেক অ্যাড ফিল্ম করেছি একাধিক ভাষায়। বুম্বাদার হাউজ থেকে ‘বিরাট বাইশ’ বলে জি বাংলা সিনেমা অরিজিনালস-এর জন্য ফিল্ম করেছি।যেহেতু আমি কলকাতার ছেলে নই, শহরটা চিনতেই আমার অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। বাড়ি থেকেও কোনও রকম ফিনানশিয়াল বা মেন্টাল সাপোর্ট ছিল না। বাবা কখনও চাননি আমি অভিনয় করি। আমার ফ্যামিলির প্রায় সবাই ল’ইয়ার। সবার ইচ্ছে ছিল আমিও তাই হব। পারিবারিক যেটুকু মেন্টাল সাপোর্ট পেয়েছি তা মায়ের কাছ থেকে। এই মুহূর্তে যেটুকু অ্যাচিভ করেছি পুরোটাই নিজেকে করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিবাহবার্ষিকীর ঠিক আগেই প্রিয়ঙ্কা-নিকের সংসারে নতুন অতিথি!
প্রেম করেন?
অ্যাঁ... (একটু ভেবে) না। এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
প্রেম প্রস্তাব আসে?
সে তো ছোট থেকেই আসছে। আমি ছোট থেকেই সুপারস্টার ছিলাম। রাস্তায় বেরোলে সবাই দেখতো।আমার ছোট্ট শহর চিত্তরঞ্জনের ষোলো হাজার এমপ্লয়ি আমাকে চিনত। ছোট ছোট বাচ্চারা আমার অটোগ্রাফ নিত, আমি কী খাই, কী করি জানতে চাইত। যখন নাইনে পড়ি, ক্লাস টুয়েলভের মেয়েরা আমাকে প্রপোজ করত। হিরো হওয়ার পরে এগুলো আর নতুন মনে হয় না।