দিদার সঙ্গে শন।
সিরাজ থেকে উজান। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
বিশেষ কিছু পার্থক্য নেই। কারণ দু’টো চরিত্র প্রায় একই। শুধু টাইম আর অ্যাটমোস্ফিয়ার অন্য। আমি দু’জনকেই রিলেট করতে পেরেছি। দু’জনেই খুব গম্ভীর, খুবই সিরিয়াস। দু’জনেরই জীবনে ভালবাসার অভাব। দু’জনে খুবই ফোকাসড। তবে হ্যাঁ, একটা ব্যাপার আছে, একজন খুবই রোম্যান্টিক ছিল, আর একজন খুবই আনরোম্যান্টিক।
কে রোম্যান্টিক? কে আনরোম্যান্টিক?
সিরাজ রোম্যান্টিক, উজান আনরোম্যান্টিক। কিন্তু উজানের অনেক শেডস আছে যেটা আস্তে আস্তে বেরবে। স্টোরি যখন আনফোল্ড হবে তখন আস্তে আস্তে দেখা যাবে।
আপনি কার মতো? সিরাজ নাকি উজান?
হা হা হা হা... আমি তো... চরিত্র যেখানে নিয়ে যাবে আমি সেখানেই যাব। যদি আনরোম্যান্টিক হতে হয় তো আনরোম্যান্টিক হব। আর রোম্যান্টিক হতে হলে আমি প্রেমিকের মতো করব।
প্রেমিকের মতো করে থাকেন মাঝে মাঝে?
অ্যা!... না, খুব একটা না।
আরও পড়ুন- রণবীরের সঙ্গে ব্রেক-আপ হয়েছিল কেন? মুখ খুললেন ক্যাটরিনা...
আপনি রোম্যান্টিক?
নট ভেরি মাচ। আমার কাজের প্রতি ভালবাসাটা বেশি।আমি ওটাতেই ফোকাস করি।
আপনার কণ্ঠস্বর শুনে আট থেকে আশি, সবাই প্রেমে পড়ে যাচ্ছে। কেমন লাগছে?
সেটা... মানে... বেশ ভালই।
টিম ‘এখানে আকাশ নীল’
সামনে এসে কেউ বলে?
মানে... অত দেখিনি... সেরকম তো গুরুত্ব দিইনি। এটা হলে ভাল। (এবার শানের প্রশ্ন, আপনি কি এ ছাড়া আর কিছু প্রশ্ন করতে চান? সামান্য বিব্রত।)
নিশ্চয়। উজান নতুন করে করতে কেমন লাগছে?
খুবই ভাল লাগছে। আমি তো প্রথমে জানতাম না যে উজানের চরিত্র করতে যাচ্ছি। আমি শুধু স্টোরি সম্পর্কে একটা ব্রিফিং পেয়েছিলাম। তখন থেকেই আমার একটা ভালবাসা তৈরি হয়েছিল। জানতাম যে এটাই করতে চাই। এটা যে দশ বছর আগে হয়েছিল আমার কাছে সে ইনফর্মেশন ছিল না। সো ইট ইজ ভেরি এক্সাইটিং ফর মি।
আপনার নায়িকা হিয়ার (অনামিকা চক্রবর্তী) সঙ্গে দেখা হল?
এর আগে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। জি অরিজিনালস-এর একটা ফিল্মে (একটা ভালবাসার গল্প)। ও বেশ ভাল। মানে ভেরি কোঅপারেটিভ, ভেরি নাইস।
হিয়া আর উজানের প্রেম কতটা জমলো, এখনও অব্দি যেটুকু শুট হয়েছে?
এখনও সেরকম কেমিস্ট্রি বিল্ড আপ হয়নি। মানে এখন একটা কোল্ড রিলেশন আছে, উজানের দিক থেকে। সেটা আস্তে আস্তে ভালবাসায় কনভার্ট হবে আশা করি।
শন এবং অনামিকা
‘এখানে আকাশ নীল’-এর জন্য দর্শককে কিছু বলবেন?
দশ বছর আগেযেটা হয়েছিল সেই জিস্টটা মাথায় রেখে সিরিয়ালটা দেখুন। এটা একটা নতুন কাহিনি। পুরোপুরি নতুন। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতিদিন সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটায় দেখা যাবে স্টার জলসায়।সবাই এই সিরিয়াল দেখুন, জানান কেমন লাগছে।
অভিনয়ে আসার বিষয়ে আপনার পরিবারের ইনফ্লুয়েন্স কতটা ছিল?
আমার দিদা (সুপ্রিয়া দেবী)অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার অভিনয়ে আসার অনেকটা প্রেরণা দিদার থেকে। মানে ওনার কথায় আমি অভিনয়ে জয়েন করেছিলাম।
আরও পড়ুন- ‘কার্ব দিবস’-এ হট বেলি ড্যান্সে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপালেন ইলিয়ানা
দিদার কোন ফিল্ম আপনার সবথেকে ভাল লাগে?
আমার তো সবথেকে প্রিয় ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং ‘সিস্টার’। বাট প্রাইমারিলি ‘মেঘে ঢাকা তারা’।
দিদার কোন নায়কের ভূমিকায় আপনি অভিনয় করতে চান?
বিষয়টা নিয়ে এখনও ভাবিনি। বাট দেয়ারস আ লটস অব ফ্যাক্টরস। সময়, জেনারেশন, ছবির মেকিং, ছবির থিমঅনেক কিছু পাল্টে গেছে।মোর অ্যান্ড মোর ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টারস রাইজিং। আগেকার সময়ে যা হয়ে গেছে বাংলা সিনেমা বা সিরিয়ালে, সেটা একটা বেঞ্চ মার্ক সেট করে দিয়েছে। আই থিং, ইট ইজ ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট টু কাম আপ উইথ সামথিং নিউ।