সিদ্ধার্থ মালহোত্র।
প্র: বিহারের বাহুবলীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কতটা হোমওয়র্ক করেছিলেন?
উ: ওখানকার ভাষা রপ্ত করতে হয়েছিল। দিল্লির পঞ্জাবি পরিবারে বড় হওয়ার ফলে আমার মধ্যে ওই জায়গার হিন্দির প্রভাব রয়েছে। পটনার ভাষা শিখতে দু’মাস সময় দিতে হল। এ ছাড়া ছবিতে রংচঙে কস্টিউম, কানে দুল সব মিলিয়ে অনেক কিছু প্রথম বার করলাম। ট্রেলার দেখে আমার ভক্তরা বেশ খুশি। এত দিন ক্লাসি পোশাক পরে সে ধাঁচের চরিত্রই করেছি। এ বার নিজেকে ভাঙলাম।
প্র: ভক্তদের প্রশংসার পাশাপাশি ট্রোলদের নিন্দেও তো সহ্য করতে হচ্ছে আপনাকে...
উ: এগুলো এখন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাল দিকও আছে। ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করাটা আমি খুব উপভোগ করি।
প্র: পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে অনেক দিন পরে কাজ করলেন...
উ: আমার আর পরিণীতির বোঝাপড়া, কমফর্ট লেভেল খুব ভাল। নতুন কারও সঙ্গে টিউনিং সেট হতে সময় লাগে। পরিণীতি অফস্ক্রিনও আমার ভাল বন্ধু।
প্র: ছবিতে আপনি অন্যদের জোর করে বিয়ে দেওয়ান। আপনাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করানো ঠিক কতটা কঠিন?
উ: আমাকে জোর করে কিছু
করানো অসম্ভব। বিয়ের ব্যাপারেও আমাকে কেউ জোর করতে পারবে না। আমি যাকে ভালবাসব, তাকেই বিয়ে করব।
প্র: পরপর আপনার বেশ কয়েকটি ছবি ব্যর্থ। নিজের ব্যর্থতাকে কী ভাবে দেখেন?
উ: প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্টস অব দ্য ইয়ার’ থেকেই চেষ্টা করেছি ভিন্ন স্বাদের চরিত্র করার। ছবি চলা বা না চলা আমার হাতে নেই। কোনও ছবি কেন চলছে না, সেটা অনেক সময়েই বোঝা যায় না। হিন্দি ছবির ইতিহাস দেখুন। সব সুপারস্টারের জীবনেই ব্যর্থতা আসে। আমি কিন্তু ব্যর্থতা থেকেই মোটিভেটেড হই। যাতে পরের ছবিতে আরও ভাল অভিনয় করতে পারি।
প্র: ‘মরজাবাঁ’ এবং ‘শেরশাহ’ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
উ: দুটো ছবিই সব ধরনের দর্শকের জন্য। মিলাপ জাভেরির ‘মরজাবাঁ’ লার্জার দ্যান লাইফ ছবি। এই ছবির জন্য আমি ওজন বাড়িয়েছিলাম, চুলও বড় করেছিলাম। তার পরে আবার ‘শেরশাহ’র জন্য ওজন কমাতে হল। চুলও ছোট করতে হল। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার চরিত্রে আমি। এটাই আমার প্রথম বায়োপিক। ছবিটা নিয়ে খুব এক্সাইটেডও। ক্যাপ্টেন বাত্রার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। চরিত্রটার সঙ্গে জাস্টিস করার চেষ্টা করেছি।
প্র: ছবির হিরোইনদের সঙ্গে আপনার লিঙ্কআপের অনেক গল্পই শোনা যায়... কখনও কিয়ারা আডবাণী, কখনও তারা সুতারিয়া।
উ: সব গুজব (হেসে)! আমি মানুষটা এতটাই লাভিং যে সবাই আমাকে ভালবাসে।
প্র: বিয়ে না লিভ-ইন— কোনটা করতে চান?
উ: আমি বিয়েতেই বিশ্বাসী। আমার মা-বাবা ৪০ বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছেন। জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হওয়ার সুবাদে পরিবারের ভাল দিকগুলো জানি, বুঝি। চিন্তাভাবনা করে প্রেম হয় না। তবে কবে বিয়ে করব, তা এখনও জানি না।
শ্রাবন্তী চক্রবর্তী, মুম্বই