হয়ে গেল শ্রীময়ী-রোহিতের বিয়ে। বহু কাঙ্ক্ষিত এই বিয়ের জন্য ইন্দ্রাণী হালদার এবং টোটা রায়চৌধুরী, দু’জনেই উন্মুখ ছিলেন। ইন্দ্রাণী আগেই জানিয়েছিলেন, শ্রীময়ীর বিয়েতে তিনি নিজের সোনার গয়না এবং শাড়ি পরবেন। শাড়ি কিনেওছিলেন তিনি।
গয়না প্রসঙ্গে টোটা বলেছিলেন, ‘‘ইন্দ্রাণীর বাড়ি ভর্তি সোনার গয়না। এই বিয়েতে তো নিজের গয়নাই পরবে।’’
ঘিয়ে রঙা জমিতে লাল জড়ি আর সবুজের পা়ড়ে সেজে উঠেছিলেন শ্রীময়ী। মাথায় জুঁই ফুলের মালা, বড় কান ঝুমকো, হাত ভর্তি সোনার বালা, রতনচূড়, গলায় কয়েকটি ভারি সোনার হার, নাকে নথ, কপালে টিকলি এবং টিপ পরে শক্ত করে ধরলেন রোহিতের হাত। রোহিত তখন মেরুন রঙা ধুতি আর সাদা পাঞ্জাবিতে মুগ্ধ শ্রীময়ীর চোখে।
এল মালাবদলের রাত। শ্রীময়ী এগিয়ে এল রোহিতকে মালা পরাতে। রোহিতের মুখে আনন্দের হাসি। পরে নিল তার প্রথম প্রেমের মালা।
রোহিতের মুখে তৃপ্তি। শ্রীময়ী আহ্লাদে আটখানা। ইন্দ্রাণী চেয়েছিলেন, বিয়ের সব নিয়ম যেন ঠিক করে পালন করা হয়।
বিয়ের রং লেগে চোখেমুখে। শ্রীময়ীকে টেনে নিল রোহিত। আর নেই কোনও বাধা। দিনান্ত বেলায় রোহিত তার পুরনো প্রেমিকাকে কাছে পেল।
শরীর খারাপকে তুচ্ছ করে রোহিতের জীবনে আজ প্রাণখোলা হাসির দিন। যে শ্রীময়ীর সব লড়াইয়ের পাশে ছিল রোহিত, আজ সেই শ্রীময়ী-ই তার নতুন সংসারে।
স্বামীর কাছ থেকে অসম্মান, শ্বশুরবাড়ি থেকে অবহেলার লম্বা লড়াইয়ের পর শ্রীময়ী আজ শুধু রোহিতের। কোথায় যেন ইন্দ্রাণী হালদার হারিয়ে গেলেন শ্রীময়ীর গভীর চোখের মাদকতায়।
বিয়ে বাড়ির হই হই, আলোর রোশনাই, ফুলের গন্ধ। তার মাঝেই রোহিতের চোখ ফিরে ফিরে যাচ্ছে তার শ্রীময়ীর দিকে।
কৈশোরের ভীরু প্রেম মধ্য বয়সে এসে যৌবন পেল। শ্রীময়ীর ঝলমলে হাসিতে কেবল বিয়ের গন্ধ।
কোনও বিপ্লব নয়। মরা দাম্পত্যের রাস্তায় এক টানা হেঁটে চলার পর এক নারী শুধু তার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিল। রোহিত আর শ্রীময়ীর চোখে চোখে পুরনো প্রেমের গন্ধ।
শ্রীময়ীর বিয়েতে মগ্ন ইন্দ্রাণী বার বার বিয়ের শ্যুটিংয়ে টোটাকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন, সিঁদুর কী ভাবে পরাতে হবে, হাত ধরে কী ভাবে এগিয়ে যেতে হবে, বিয়ের কোনও আচার যেন বাদ না পড়ে যায়— সব মিলিয়ে উত্তেজিত ইন্দ্রাণী।
পায়ে নূপুর বাজিয়ে ছাদনাতলায় হাজির ইন্দ্রাণী। রোহিত সেনকে বর বেশে দেখে তিনি মুগ্ধ। বিয়ের আনন্দে ফ্লোরের সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়ালেন নায়িকা।
দর্শকেরা জানেন, বিয়ের খবরে বয়স কমেছে ‘ফেলুদা’র। শ্রীময়ীর মতো ফ্লোরে উত্তেজনা না দেখালেও স্থিতধী রোহিত বিয়ের আবেগে আপ্লুত।
দু’টি প্রাণ মিলে গেল হাসিতে। বেজে উঠল সানাই।