—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছবির প্রযোজনা হয় ভারতের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতেই। অনেকেই জানলে অবাক হবেন, সারা বছর জুড়ে নানা ভাষায় আঠেরোশোর বেশি ছবি মুক্তি পায় ভারতে।
গত এক দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প অনেকখানি এগিয়েছে, বড় বড় বাজেটের অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। যদিও বড় বাজেটের ছবিতে নির্মাতাদের ব্যয় অনেক বেশি। অভিনেতাদের পারিশ্রমিক দিতে হয় বেশি। তা ছাড়াও পোশাকসজ্জা, সেট, ভিএফএক্স এবং অ্যাকশন দৃশ্য নির্মাণে বিপুল ব্যয় হয়। বক্স অফিসে ভাল ইনিংস না খেললে লোকসানের মুখ দেখতে হয় অনেক সময়। তবু সম্প্রতি বেশির ভাগ বড় বাজেট ছবিই দর্শকের আগ্রহ তৈরি করছে।
ভারতে তৈরি হওয়া সব থেকে ব্যয়বহুল ছবি কোনটি? অনেকেই বলবেন ‘আদিপুরুষ’-এর কথা। তার আগে মুক্তি পাওয়া ‘বাহুবলী’(২০১৭)-র কথা তুলবেন কেউ। গত বছরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’(২০২২), ‘কেজিএফ ২’(২০২২), ‘ধুম ৩’(২০১৩) ইত্যাদি ছবির কথাও মনে পড়তে পারে।
তবে এগুলির একটিও নয়। নাগ অশ্বিন পরিচালিত ‘প্রজেক্ট কে’ ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি হিসাবে এগিয়ে থাকবে। প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসন, দীপিকা পাড়ুকোন, দিশা পটানি অভিনীত এই ছবিটিই এখনও পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে তৈরি হওয়া ছবি হতে চলেছে। এই ছবির বাজেট ৬০০ কোটি টাকা।
প্রভাস নাকি এই ছবির জন্য নিয়েছেন দেড়শো কোটি টাকা। ছবির বাজেটের এক-চতুর্থাংশ প্রভাসের জন্যই ব্যয় করা হয়েছে। কমল হাসন নিয়েছেন ২০ কোটি টাকা।
দীপিকার পারিশ্রমিক ১০ কোটি। অমিতাভ, দিশা প্রমুখের জন্য খরচ হয়েছে ২০ কোটি। অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সব মিলিয়ে ২০০ কোটি। প্রযোজনার খরচ ঠিক এর দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৪০০ কোটি টাকা।
কিছু দিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘আদিপুরুষ’ ছবির বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘আরআরআর’-এর বাজেটও ছিল ৫০০ কোটি।
দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত অভিনীত ‘২.০’-এর বাজেট ছিল ৫০০ কোটি। রণবীর সিংহ-আলিয়া ভট্ট অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তৈরি করতে লেগেছিল ৪১০ কোটি টাকা।
আমির খান এবং অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’ তৈরি হয়েছিল ৩১০ কোটি টাকায়। ‘বাহুবলী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল দু’ভাগে। ২৫০ কোটি বাজেট ছিল এই ছবির। এমনকি শাহরুখ খান অভিনীত বিপুল সাফল্যের মুখ দেখা ছবি ‘পাঠান’-এর বাজেটও ছিল ২৫০ কোটি।