ভালবাসায় ভাসছেন ‘নীলামন’।
৩১ জানুয়ারি থেকেই নিপাত্তা ‘নীলামন’! শহরের ব্যস্ততা থেকে বহু দূরে ইমন চক্রবর্তী-নীলাঞ্জন ঘোষ। আইনি বিয়ে, আনুষ্ঠানিক বিয়ের বর্ষপূর্তি সারছেন রাঢ় বাংলার পুরুলিয়ায়। নেপথ্যে টিলার মতোর অগুন্তি ছোট ছোট পাহাড়। তাকে ঘিরে ছিমছাম রিসর্ট। সেখানেই ১০১ নম্বর ঘরটি তারকা দম্পতির দখলে। এ কথা প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ২০২১-এর ২ ফেব্রুয়ারি মাত্র ১৫ মিনিটে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। সেই স্বাদ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেই বুঝি নির্জনবাসের আয়োজন!
১ ফেব্রুয়ারি ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট ইমনের তরফ থেকে। এই প্রথম তাঁর জীবনে নীলাঞ্জনের উপস্থিতি, গুরুত্ব কতখানি-- অকপটে প্রকাশ্যে এনেছেন গায়িকা। জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীর কথায়, ‘‘সম্পূর্ণ আলাদা স্বভাবের দুটো মানুষ একসঙ্গে পথ চলা শুরু করল। আমি কিন্তু জানতাম, এই লোকটাকে হাতছাড়া করা যাবে না।’’ কেন? শিল্পীর মা-বাবাই, পরিবার আর খুব কাছের কিছু মানুষ ছাড়া কেউই তাঁকে নাকি খুব ভাল করে বোঝেন না! ইমনের অভিমান, বা বুঝলে ভুলই বোঝেন! কিন্তু নীলাঞ্জন তাঁকে বুঝেছেন। তাঁর পাগলামিগুলোকে ভালবেসেছেন। অথচ এই নীলাঞ্জনই নাকি প্রথম দেখায় পাত্তাই দেননি গায়িকাকে! কাজের সূত্রে কাছাকাছি। শুধু কাজই ছিল তখন তাঁদের মধ্যে। আস্তে আস্তে নিছক কেজো সম্পর্কে ভালবাসার রং ধরেছে।
এটা ইমনের অনুভূতি। নীলাঞ্জন কী বলছেন? বিয়ের পরে সম্পর্কে প্রেম আছে, নাকি পুরোটাই নিছক অভ্যাস?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে শিল্পীর দাবি, ‘‘মা-বাবার সঙ্গে থাকাটাও কিন্তু এক ধরনের অভ্যেস। সেখানেও শ্রদ্ধা, ভালবাসা থাকে। দাম্পত্যের ভালবাসা একটু অন্য রকম। এবং প্রেম না থাকলে, নিছক অভ্যেসে পরিণত হলে সম্পর্ক হয়তো ততটা সুখের নয়। সেই নিরিখে বলব, দিব্য প্রেমে আছি আমরা!’’ সেই প্রেমের টুকরো ছবি, বিবাহবার্ষিকীর সকাল শুরু হয়েছে সেমাইয়ের পায়েস দিয়ে। এর পরেই নিজেদের মতো করে পুরুলিয়া দেখবেন দু’জনে। বেড়াতে বেড়াতে পথে যা পাবেন, সেটাই হবে দম্পতির বর্ষপূর্তির দুপুরের ভোজ। উপহারের ঝুলিও খালি নেই। নীলাঞ্জন ইমনকে সাজিয়েছেন গয়নায়। ইমন তাঁর স্বামীর জন্য বেছে নিয়েছেন কেজো উপহার।
নৈশভোজ হবে মোমের মৃদু আলোয়। চার পাশে হয়তো ফুটবে লাল বসরাই গোলাপ। দু’জনের পছন্দের মেনুতে সেজে উঠবে টেবিল। সুর আজীবনের জন্য বেঁধেছে ‘নীলামন’কে। তখনও কি নেপথ্যে ঝঙ্কার তুলবে ভালবাসার আবেশ জড়ানো তেমনই কোনও পেলব সুর? জানা নেই। তবে বউয়ের আবদার মতো এক বছর আগের বিয়ের রাত আবারও যে নতুন করে রোম্যান্টিক হতে চলেছে, তাতেই খুশি নীলাঞ্জন।