শোভিতা
একটি ওয়েব সিরিজ়ে রাতারাতি নাম ছড়িয়ে পড়ল নবাগতা শোভিতা ধুলিপালার। ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন যদিও অনুরাগ কাশ্যপের ‘রমন রাঘব টু পয়েন্ট ও’ দিয়ে। তবু ওয়েবের গুরুত্বকে স্বীকার করতে কুণ্ঠা নেই তাঁর, ‘‘বড় পর্দার চেয়ে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম এখন বেশি ভ্যারাইটির কাজ করছে। গল্প বলার ধরনও অনেক বেশি সাহসী। ‘মেড ইন হেভেন’ আর ‘বার্ড অব ব্লাড’-এর পরে এত ধরনের কাজের সুযোগ আর প্রশংসা পাচ্ছি, যা সিনেমা আমাকে দেয়নি।’’
অনুরাগের ছবিতে লঞ্চ হওয়া মানে এক ধরনের ছকে বাঁধা পড়া নয়? ‘‘প্রথমত, ‘লঞ্চ’ শব্দটা খুব ভারী। আমার ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়। আমার অডিশন অনুরাগের পছন্দ হয়েছিল। তাই কাস্ট করা হয়। আর যদি আমাকে ছকে বেঁধে ফেলাও হয়, সেটা কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নেব। চিন্তার কিছু নেই,’’ সোজাসাপটা উত্তর তাঁর।
শোভিতা বরাবরই চুপচাপ, রাশভারী প্রকৃতির। ‘‘এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কথা বলি। কারণ আমার কথা আমি না বললে লোকে জানবে কী করে? তবে সেটা বাইরের পরিবর্তন। ভিতরে আগের মতোই রয়েছি,’’ জবাব তাঁর। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার খেতাব জিতে আসা শোভিতা তাঁর জার্নি নিয়ে সন্দিহানও ছিলেন। ‘‘ঠিক জানতাম না, এটা করতে চাই কি না। সিনেমা দেখে বড় হইনি। অভিনেত্রী হব সেটাও ভাবনায় ছিল না।’’ তাই এমন কোনও অভিনেতা নেই, যাঁকে অভিনেত্রী আইডল মনে করেন। বরং তাঁর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন লেখক, কবি, সুরকার এবং সেই সব মানুষ যাঁরা নিজের মতামত জোরালো ভাবে বলতে পারেন।
নেটফ্লিক্সের ‘ঘোস্ট স্টোরিজ়’-এ অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনায় কাজ করেছেন। দুলকির সলমনের সঙ্গে করছেন একটি মালয়ালম ছবি। আর তাঁর দ্বিভাষী ছবি ‘মুথুন’ এ বছর মুম্বই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে দেখানো হয়। ‘‘আমি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। কমফর্টেবল কিছু করতে চাই না। চয়েসটা ভাল না খারাপ, সেটা সময় বলবে,’’ বললেন শোভিতা।
‘মেড ইন হেভেন’-এর দৌলতে পাওয়া খ্যাতি তাঁর কাছে খানিক বিড়ম্বনার। ‘‘যখন বড় হচ্ছিলাম, ভেবেছিলাম লোকে চিনলে খুব ভাল লাগবে। কিন্তু এখন দেখছি, ভাবনাটাই বেশি ভাল ছিল। বাস্তবে নয়। ঘরে তৈরি কফি, রোজের সূর্যোদয়... এখনও এ সব কেন্দ্র করেই জীবন ঘোরে,’’ হালকা হাসি তাঁর কণ্ঠে। শোভিতাও কি বিশ্বাস করেন, স্বর্গে জুটি তৈরি হয়? ‘‘আমি বাচ্চা খুব পছন্দ করি। তবে বিয়ে নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি,’’ তারার (মেড ইন হেভেন) জৌলুস এখনও ছুঁতে পারেনি শোভিতাকে।