মির্জাপুর-এর পোাস্টারে ‘কালীন ভাইয়া’ পঙ্কজ। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
মির্জাপুরের ‘কালীন ভাই’কে মনে আছে! কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, সোজা কথা সটান মুখের উপর বলে দেওয়া অখণ্ডানন্দ সত্যানন্দ ত্রিপাঠী। যে চরিত্র তার কুমন্তব্যের জন্যেই সুবিদিত। সেই চরিত্রের অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী কিন্তু পর্দায় কুমন্তব্যের বিলকুল বিরোধী। মনে করেন, একজন অভিনেতার অকারণে পর্দায় কুকথা বলা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
ওয়েবসিরিজ মির্জাপুরে ক্ষমতাপ্রেমী, গরম মেজাজের কার্পেট ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক সিনেমাপ্রেমীদেরও তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। সেই তিনিই কিনা পর্দায় কুমন্তব্যের বিরোধী!পঙ্কজের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘একজন অভিনেতা যখন পর্দায় কুমন্তব্য করেন বা খারাপ ভাষায় কথা বলেন, তখন তা করতে হয় চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে। অযথা এই ধরনের ভাষার ব্যবহারে অভিনেতা হিসাবে স্বচ্ছন্দ নই আমি। এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করি। এই ধরনের দৃশ্যে যখন কুকথা ব্যবহার করতেই হয়, তখনও খুব খারাপ কথা বলি না। যতক্ষণ না পরিস্থিতি দাবি করছে।’’
আরও পড়ুন : নায়িকা, সঞ্চালিকার পর নতুন ভূমিকায় করিনা, কী করতে চলেছেন তিনি?
প্রসঙ্গত, কুকথাই জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল কালীন ভাইয়ার চরিত্রাভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে। এতটাই, যে ওই চরিত্রের ব্যঙ্গচিত্রে একটা সময় ছেয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। রাজনৈতিক হোক বা সামাজিক যেকোনও ক্ষেত্রের ‘ভিলেন’দের ধমক-ধামক দিতে ‘কালীন ভাই’-এর মুখের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ডায়ালগই ছিল সেরা পছন্দ। আর এখানেই আপত্তি পঙ্কজের। মুম্বইয়ের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার মুখে যে ধরনের কথা বসানো হয়, তা আদপে আমার চরিত্রের ডায়ালগই নয়। এ কথা ঠিকই পর্দায় এ ধরনের শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে, সবাইকেই। অভিনেতার পাশাপাশি, পরিচালক এমনকি চিত্রনাট্যকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু আমি এ-ও আশা করব, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করেন, তাদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ববোধ দেখানো উচিত।’’
আরও পড়ুন : কোভিড কাটিয়েই পারফরম্যান্সে আগুন ঝরাচ্ছেন বরুণ ধওয়ন