মৌনী
প্র: পরপর বলিউডের নামী অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন...
উ: হ্যাঁ, আমি খুব ভাগ্যবান যে সুযোগগুলো পাচ্ছি। সব সময়ে চেষ্টা করি নিজের একশো শতাংশ দেওয়ার। আমার হার্ডওয়র্ক এবং ভাগ্য আজ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।
প্র: নিজের এই সাফল্যের কৃতিত্ব কাকে দেবেন?
উ: বালাজি টেলিফিল্মস থেকে আমাকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়েছিল। একতা কপূর আমাকে নির্বাচন করেন। আর একজনকে কৃতিত্ব দেব, তিনি কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা।
প্র: ‘মেড ইন চায়না’র পরিচালক মিখিল মুসালে বলছিলেন, ছবিতে রুক্মিণীর চরিত্রের জন্য সুন্দরী এবং ভাল নাচ জানা অভিনেত্রীর প্রয়োজনা ছিল।
উ: হ্যাঁ, ওদের নির্দিষ্ট কিছু ডিমান্ড ছিল। আর নাচতে আমার ভালই লাগে। আমাকে রুক্মিণীর চরিত্রটার প্রস্তাব দেওয়ার সময়ে বলা হয়েছিল, আমি আর রাজকুমার অনস্ক্রিন কাপল হলেও দু’জনে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর।
প্র: আপনি কেমন জীবনসঙ্গী চান?
উ: ছাত্রজীবনে আমার কিছু অবাঙালি বন্ধু ছিল। যারা পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল কিন্তু তাদের জীবনে কোনও লক্ষ্য ছিল না। এই জন্য পড়াশোনা করত যাতে ভাল বিয়ে হয়। আমি এটা নিয়ে ওদের খুব কথা শোনাতাম। সেই জন্য ঝামেলাও হত (হাসি)!
প্র: আপনি কি প্রশ্নটা এড়িয়ে যাচ্ছেন?
উ: আসলে আমি কোনও দিন প্ল্যান করে কিছু করিনি। প্ল্যান করলেই তা ভেস্তে যায়। চেয়েছিলাম, আইএএস অফিসার হতে আর এখন কোথায় এসে পৌঁছেছি। স্কুল-কলেজে নাচ-গানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। কিন্তু কোনও দিন অভিনয় জগতে আসব ভাবিনি। এই মুহূর্তে কাজের জায়গায় আমি খুব খুশি এবং ব্যস্ত। তাই সব চিন্তাভাবনা কাজ নিয়েই।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার কাছের বন্ধু কে?
উ: হাতে গোনা কয়েক জন। আমার কিন্তু কোনও রাত তিনটের বন্ধু নেই। আর রাতে আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার ফিটনেস-লুক নিয়ে অনেক চর্চা হয়। কী বলবেন?
উ: বললে কেউ বিশ্বাস করবে কি না জানি না, আমি একদম ডায়েটের মধ্যে থাকি না। কোনও বিশেষ দৃশ্যের জন্য প্রয়োজনে হয়তো একটু ডায়েট করেছি। তবে চিনি খাই না। আমার কাছে মিষ্টি ড্রাগের মতো। আটার তৈরি কিছুও খাই না। আর ল্যাক্টো অ্যালার্জি আছে বলে দুধ খেতে পারি না।
প্র: আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বলছে, আপনি খুবই ফ্যাশন সচেতন...
উ: ড্রেস, শাড়ির উপরে আমার আলাদা টান। ফ্যাশন নিয়েই ভবিষ্যতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।