মহিলাদের ভাল বুঝতে পারি: বিরসা

এমনটাই দাবি করলেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত।এমন এক জন মহিলার কাছে মানুষ হয়েছি যিনি ওয়র্কিং উওম্যান ছিলেন। কিন্তু বাড়ির সকলের খেয়াল রাখতেন। যার সঙ্গে প্রেম করেছি, বিয়ে করেছি, সে-ও বাইরের কাজের সঙ্গে ঘর সামলায়। এই দু’জন মহিলার প্রভাব আমার উপরে খুব বেশি।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
Share:

বিরসা দাশগুপ্ত। ছবি: দেবর্ষি সরকার।

প্র: ‘ক্রিসক্রস’-এর চিত্রনাট্যকার মৈনাক ভৌমিকের লেখার অনেক কিছু নাকি বদলে দিয়েছেন?

Advertisement

উ: না তো! মৈনাক খুব ভাল লেখে। কিন্তু ওর সব গল্পই দুটো বাড়ির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আমার জন্য লেখার সময়ে হাত খুলে লিখেছে। স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ‘ক্রিসক্রস’ মৈনাক ওর মতো করে লিখেছে। আমি নিজের মতো তৈরি করেছি।

প্র: পাঁচ জন নায়িকাকে সামলানোর টিপ্‌স কে দিয়েছিল?

Advertisement

উ: কেউ নয়। আমি মহিলাদের ভাল বুঝতে পারি। এমন এক জন মহিলার কাছে মানুষ হয়েছি যিনি ওয়র্কিং উওম্যান ছিলেন। কিন্তু বাড়ির সকলের খেয়াল রাখতেন। যার সঙ্গে প্রেম করেছি, বিয়ে করেছি, সে-ও বাইরের কাজের সঙ্গে ঘর সামলায়। এই দু’জন মহিলার প্রভাব আমার উপরে খুব বেশি। আমার দুই মেয়ে ইদা আর মেঘলাকেও দেখছি। পরিবারে নানা বয়সের নানা প্রজন্মের মেয়েদের সঙ্গে থাকতে থাকতে ওদের সাইকোলজিটা বুঝে গিয়েছি। উইথ লাভ অ্যান্ড রেসপেক্ট। তাই সেটে পাঁচ জন নায়িকাকে নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রত্যেকের সঙ্গে আমার আলাদা বন্ডিং আছে।

প্র: কোন নায়িকার জন্য লাভ আর কার জন্য রেসপেক্ট?

উ: সকলের জন্যই দুটো আছে (হাসি)! আমাকে দিয়ে বিতর্কিত কিছু বলাতে পারবেন না।

প্র: রিমেক, মৌলিক চিত্রনাট্য দু’দিকেই আছেন। কিন্তু কেরিয়ারের বড় হিট তো রিমেক ছবি দিয়েই।

উ: এটা আমার ন’নম্বর ছবি। তার মধ্যে তিনটে রিমেক। দক্ষিণী ছবি থেকে করলেই সেটা রিমেক আর হলিউড, ইউরোপিয়ান, কোরিয়ান ছবি হলে সেটা অনুপ্রেরণা হয়ে যায় দেখি! বলিউড রোজ দক্ষিণী ছবির রিমেক করছে। সুজয় ঘোষের ‘বদলা’ স্প্যানিশ ছবির রিমেক। ‘নায়ক’ থেকে ‘অটোগ্রাফ’ও তেমন। সিনেমাটা ভাল হওয়া নিয়ে কথা। আমি চাই না, আমার ছবি শুধু ফেসবুকে হিট হোক। চাই, লোকে সিনেমা হলে ছবিটা দেখুক।

প্র: অনেক দিন কাজ করছেন। এখনও প্রথম সারির পরিচালক হিসেবে আপনার নাম আসে না...

উ: এগুলো ভেবে কাজ করতে শুরু করিনি। কোনও দিন এক ধরনের ছবি বানাইনি। ‘জ়িরো থ্রি থ্রি’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’, ‘সব ভুতুড়ে’ বা ‘শুধু তোমারই জন্য’ সব ক’টা আলাদা ধরনের। রিস্ক নিয়ে ছবি করেছি। সেফ খেলতে বা নস্ট্যালজিয়াকে উস্কে দিয়ে দর্শককে আগ্রহী করতে চাইনি।

প্র: নস্ট্যালজিয়া প্রসঙ্গে কি বিশেষ কারও কথা বলতে চাইলেন?

উ: একদমই না। আমি বলছি পুরনো যা কিছু হয়ে গিয়েছে সেটা আর বানাব না। নিজেকে রিপিটও করব না। তাতে হয়তো কিছু ছবি ফ্লপ হবে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে দেখা যাবে আমি কী বানিয়েছি। আমার চেয়ে সিনেমাটা বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। ভাল লাগা থেকে ছবি বানাই। আমি স্টোরিটেলার নই, স্টোরিমেকার।

প্র: তা হলে সোশ্যাল মিডিয়া বা নায়িকার সঙ্গে লিঙ্কআপ আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়?

উ: লিঙ্কআপ দিয়ে কী হবে? আমার যদি সে সব থাকেও, কেউ জানতে পারবে না। আমি তো নিজেকে জাহির করি না। তবে চাই সব স্তরের মানুষ আমার ছবি দেখুক। যারা নেটফ্লিক্স, অ্যামাজ়ন দেখে, সেই গোষ্ঠীটাকে হলে আনতে চাই। আমার বাড়িতে এই প্রজন্মের দুটো বাচ্চা আছে। আমার বড় মেয়ে
আর ওর বন্ধুরা বাংলা ছবি দেখতে চায় না। এর জন্য ওরা দায়ী নয়, আমরাই দায়ী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement