ঋদ্ধির অনুপ্রেরণা রণবীর?
কী বিচিত্র এই দেশ! বলিউডের রণবীর সিংহ অনাবৃত হয়ে প্রশংসিত। অথচ কিছু দিন আগেই শহর কলকাতা স্বপ্নসন্ধানী নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘হ্যামলেট’ দেখেছে। সেখানেই নাটকের খাতিরে বিশেষ পোশাক পরতে হয়েছিল মুখ্য অভিনেতা ঋদ্ধি সেনকে। তাতেই তাঁকে দর্শকদের ‘অনাবৃত’ আখ্যা। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই বলিউড তারকার প্রশংসা করেছেন ঋদ্ধি। বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনে আমিও রণবীরের মতোই অনায়াসে অনাবৃত হতে রাজি।’’
বৃহস্পতিবারের মধ্য রাত গনগনে রণবীরের সৌজন্যে। হাতের সাহায্যে, শরীরী ভঙ্গিমায় নিম্নাঙ্গ ঢেকে অনায়াস সুতোহীন তিনি। সেই ছবি দেখেছেন ঋদ্ধি? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার অনলাইনের। অভিনেতাকে তাঁর নির্ভার লেগেছে। এবং ছবি থেকেও বেশি ভাল লেগেছে ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’-এর কথা। পর্দার ‘বিসমিল্লা’র মতে, "কী সুন্দর বলেছেন, ‘আমার মনও তো আমার শরীরে মতোই অনাবৃত। নানা চরিত্রের মাধ্যমে তাকে সামনে আনি। কই, তখন তো কারও অসুবিধে হয় না! যত সমস্যা আমি অনাবৃত হলেই। পোশাক খোলা আমার কাছে কোনও বিষয় নয়। আমি অনাবৃত হতেই পারি। সমস্যা অন্যদের। তাই নিজেকে অনাবৃত করি না!’’ ঋদ্ধির দাবি, এটা তাঁরও মনের কথা।
রণবীর কি তা হলে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতার অনুপ্রেরণা? প্রয়োজনে কটাক্ষ উপেক্ষা করে আগামীতে আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে ‘অনাবৃত’ করতে রাজি ঋদ্ধি? স্পষ্ট জবাব, ‘‘পোশাক, নিরাবরণ হওয়া নিয়ে মাথাব্যথা সমাজের। আমাদের নয়। এই কারণেই আমাদের দেশে যৌনশিক্ষা নেই। যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেও এত অস্বস্তি! পোশাকের নীচে রণবীরও যেমন আমিও তেমন। তা হলে রণবীর সেই আড়াল সরাতে পারলে আমার অসুবিধে কোথায়।’’ অভিনেতার মতে, যতই কটাক্ষের শিকার হোন, প্রয়োজনে তাঁকে যদি আবারও অনাবৃত হতে হয় তিনি রাজি।