রাজেশ খন্না ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সুপারস্টার। স্টারডম আসলে কী সেটা রাজেশ খুব কাছে থেকে দেখেছিলেন।
রাজেশের প্রেমে পাগল হয়েছিলেন মহিলা ভক্তেরা। তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য গাড়ির সামনে লাইন পড়ে যেত মহিলাদের। অনেকেই নাকি তাঁর ছবির সঙ্গে বিয়েও করে নিযেছিলেন।
সেই সুপারস্টার রাজেশের জীবন থেকে স্টারডম চলে গিয়েছিল এক সময়। এর পিছনে রয়েছে রাজেশেরই ছোট একটি ভুল।
রাজেশের সহ অভিনেত্রী ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। প্রচুর ফিল্মে দু’জনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। শর্মিলাই এর কারণ তুলে ধরেছিলেন একটি লেখার মাধ্যমে।
রাজেশ মূলত সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন ‘আরাধনা’ ফিল্মের পর। এই ফিল্মেও তাঁর নায়িকা ছিলেন শর্মিলা।
সহ অভিনেতাদের সঙ্গে খুব মিলেমিশে কাজ করতেন রাজেশ। সেটে তিনি নাকি একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি করে ফেলতেন।
শর্মিলার মতে, ‘আরাধনা’ তাঁকে সুপারস্টার করে তোলার পর তাঁর আচরণে কিছু বদল আসতে শুরু করে।
শর্মিলা রোজ সকাল ৯টায় সেটে চলে যেতেন। তাঁর উদ্দেশ্যই ছিল শ্যুটিং শেষ করে রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি চলে আসা।
সেখানে রোজই রাজেশ অন্তত ৩ ঘণ্টা দেরিতে সেটে পৌঁছতেন। আরাধনার পর যতগুলো ফিল্মে শর্মিলা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছিলেন সবেতেই তাঁকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে সেটের সকলেই বিরক্ত ছিলেন। কিন্তু রাজেশের মতো সুপারস্টারকে সময়ানুবর্তিতার পাঠ নেওয়ার সাহস কারও ছিল না।
তা ছাড়া পরিচালক খুব ভাল করেই জানতেন যে, ফিল্ম সুপারহিট করতে গেলে রাজেশকে প্রয়োজন। তাই সকলেই মুখ বুজে সব মেনে নিতেন।
এক দিকে যেমন এ নিয়ে পরিচালক এবং তাঁর সহ অভিনেতা, অভিনেত্রীদের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছিলেন তিনি, অন্য দিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের কাজে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে।
অভিনয় একঘেয়ে লাগার কারণ রাজেশের একটা ছোট ভুল। তিনি মূলত যে ধরনের ফিল্ম করতেন তার বাইরে তিনি বার হতে পারতেন না। তার উপর ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভ বচ্চনের ডেবিউ হযে গিয়েছিল।
রাজেশের কেরিয়ার মুখ থুবড়ে পড়েছিল। খারাপ সময়ে তাঁর পাশে থাকেনি তাঁর পরিচালক বন্ধুরাও।
রাজেশের কেরিয়ার মুখ থুবড়ে পড়েছিল। খারাপ সময়ে তাঁর পাশে থাকেনি তাঁর পরিচালক বন্ধুরাও।
তার উপর সে সময় স্ত্রী ডিম্পল কপাডিয়ার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ সব কাটিয়ে আর নিজের স্টারডম ফিরে পাননি তিনি। ২০১২ সালে মুম্বইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।