ফিরে দেখা: ঋষি-নিতু।
পাঁচ দিন পার হয়ে গেল ঋষি কপূর নেই। বনগঙ্গায় ভেসে গিয়েছে তাঁর চিতাভস্ম। চোখের জলে স্বামীকে বিদায় জানিয়েছেন নিতু। তবু শোক ভুলতে পারছে না বলিউড।
রেডিয়োতে একটানা বেজে চলেছে তাঁর গান। অমিতাভ বচ্চন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিতু কপূর লিখেছেন, ‘এন্ড অফ আওয়ার স্টোরি’। সঙ্গে হুইস্কির গ্লাস হাতে ঋষি কপূরের হাস্যময় একটা ছবি। ছবিটা ভীষণ জীবন্ত, যেন জীবনকে উদযাপন করছেন ঋষি। এই গল্পের শুরুটা ঠিক কোথায় হয়েছিল? কেমন ছিল সেই কিশোর বেলার প্রথম মুলাকাত?
আরও পড়ুন- মা হলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক
"মারাত্মক''। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন নিতু। সুদর্শন সেই যুবার লোকের পিছনে লাগার অভ্যেস ছিল। নিতুর কথায়, "আমার মেকআপ আর জামা কাপড় নিয়ে সারাক্ষণ কমেন্ট করত। আর আমি রেগে যেতাম। তখন আরও বেশি করে করত।" এতই যদি সাপে-নেউলে সম্পর্ক তবে মনে বসন্ত জাগল কী ভাবে? হাসতে হাসতে নিতু বলেছিলেন, "ববি বক্স অফিসে সুপারহিট হল। এ দিকে ডিম্পলের তখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই ওর কাছে যত অফার আসতে লাগল তার সব কটাতেই প্রায় আমি নায়িকা।
এ ভাবেই একসঙ্গে কাজ করতে করতে কখন যেন প্রেমটা হয়ে গিয়েছিল দু'জনের। বিয়ের আগে তিন বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন তাঁরা। ঋষি কোনওদিনই সরাসরি নিতুকে বিয়ের প্রস্তাব দেননি। নিতুর কোর্টেই বল দিয়ে সম্মতি আদায় করে নিয়েছিলেন ঠিক। এক ডিনার ডেটে ঋষি বলেন, "বিয়ের ব্যাপারে কী ভাবছ?" নিতুও কম যান না। উল্টে বলেছিলেন, " বিয়ে করার জন্য তো একজন পাত্রের প্রয়োজন।" হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ঋষি। বলেছিলেন, "পাত্র! তা হলে আমি কে?" ব্যস, আর কী? হয়ে গিয়েছিল বিয়ে।
এই ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে চরাই-উতরাই কম আসেনি। ঋষির নাম জড়িয়েছে একাধিক সহনায়িকার সঙ্গে। সমালোচকদের মতে কপূর পরিবারের ট্র্যাডিশন অনুযায়ী নাকি নিতুকেও বিয়ের পরে ছাড়তে হয়েছিল অভিনয় জীবন। সে যাই হোক না কেন, ঋষির হাত ছেড়ে যাননি নিতু। আর ঋষিও জাপটে ছিলেন তাঁর ভালবাসাকে। ঋষি চলে গেলেন। না-ভুলতে পারা মুহূর্ত দিয়ে গেলেন নিতুকে।