মেরি কম, সঞ্জয় দত্ত, মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন এবং মিলখা সিংহ— কে কত টাকা পেয়েছিলেন জীবনীচিত্রের জন্য? ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক বছরে জীবনীচিত্র তৈরির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলিউডে। একের পর এক জীবনীচিত্র তৈরি হয়েছে গত দু’দশকে। যাঁদের জীবনীর উপর নির্ভর করে ছবি তৈরি করা হয়, তাঁদের কী লাভ হয় এই ছবি থেকে? এমন প্রশ্ন মনে উঁকি দিতেই পারে। সম্প্রতি ‘দঙ্গল’ ছবিটি নিয়ে মুখ খুলেছেন ববিতা ফোগাট। তিনি দাবি করেছেন, ছবিটি প্রায় ২০০০ কোটি টাকা রোজগার করলেও ফোগাট পরিবারকে মাত্র এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন নির্মাতারা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে অন্য ছবিগুলির ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল?
(বাঁ দিকে) ‘আজ়হার’ ছবিতে ইমরান হশমি। ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিতে ফারহান আখতার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
জানা গিয়েছে, সবচেয়ে কম টাকা দাবি করেছিলেন মিলখা সিংহ। ২০১৩ সালে ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিংহের জীবনের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিলন ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। পরিচালক ওম প্রকাশ মেহরার এই ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ফারহান আখতার। বক্স অফিসে এবং সমালোচক মহলে সমান ভাবে সমাদৃত হয়েছিল এই ছবি। জানা যায়, মিলখা সিংহকে এর জন্য ২ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। কিন্তু, মিলখা নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা।
নিজের জীবনীচিত্রের জন্য একটি টাকাও নিতে অস্বীকার করেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন। ২০১৬ সালে তাঁর জীবনের উপর নির্ভর করে তৈরি হয় ‘আজ়হার’। এ ছবিতে তাঁর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ইমরান হশমিকে।
(বাঁ দিকে) ‘সঞ্জু’ ছবিতে নামভূমিকায় রণবীর কপূর। ‘মেরি কম’ ছবিতে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৪ সালে মুক্তি পায় ‘মেরি কম’। উমঙ্গ কুমার পরিচালিত এই ছবির জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের বক্সার মেরি কম নিয়েছিলেন মাত্র ২৫ লক্ষ টাকা। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার অভিনয়ে এই ছবিও সাফল্য পেয়েছিল।
হিসেব মতো জীবনীচিত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘সঞ্জু’। বিতর্কিত বলিউড নায়ক সঞ্জয় দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করেন রণবীর কপূর। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এ ছবির জন্য সঞ্জয় নেন প্রায় ৯ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ছবির মোট মুনাফার শতকরা ভাগও ছিল তাঁর।