(বাঁ দিকে) উজ্জ্বল ঘোষ। বাঘা-যতীনের পোস্টার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
জন্ম থেকে বিপ্লবী চারুচন্দ্র বসুর হাত অসাড়। কিন্তু মনে সাহস ছিল অপরিসীম। তেমনই এক জনের খোঁজ ছিল পরিচালক অরুণ রায়েরও। ‘বাঘা যতীন’ ছবির জন্য খোঁজ চলছিল বিপ্লবী চারুচন্দ্রের। পাওয়াও গেল সঠিক মানুষ। নাম উজ্জ্বল ঘোষ। হুগলির পুরশুড়া এলাকার রসুলপুল গ্রামের ছেলে তিনি। তাঁরও হাতে রয়েছে সমস্যা। কিন্তু সেই সমস্যা কখনও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রায় সারা দেশ। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাহাড় পর্বত। নেহাতই শখে ঘুরে বেড়ান তিনি। সেখান থেকে কোনও রোজগার করেন না। সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন লাদাখেও। সঙ্গে আবার তিনি পরিবেশ রক্ষার বার্তাও দেন। বীজ বপন করেন। এই সাইকেলের সূত্র ধরেই চারুচন্দ্র হয়ে ওঠা উজ্জ্বলের।
কী করে হয়েছিল যোগাযোগ? আনন্দবাজার অনলাইনকে উজ্জ্বল বলেন, “এই সাইকেলই হল যোগসূত্র। লাদাখ যাওয়ার জন্য আমাদের একটা টিম তৈরি হয়েছিল ১০-১২ জনের। তার মধ্যেই এক জন হলেন ‘বাঘা যতীন’-এর সদস্য। তাঁর সূত্রেই আমি অডিশন দিতে যাই। আমায় বেছে নেওয়া হয় এই চরিত্রের জন্য।”
অভিনয়ের আগে সরকারের ১০০ দিনের কাজও করেছেন উজ্জ্বল। তার আগে শারীরশিক্ষার প্রশিক্ষণ দিতেন। কিন্তু এখন তেমন ভাবে কিছুই করছেন না। আগামী দিনে কি অভিনয়কে পেশা হিসাবে নেওয়ার ইচ্ছা তাঁর? উজ্জ্বল জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে তিনি অবশ্যই অভিনয় করবেন। তিনি মনে করেন অভিনয়টা চেষ্টা করলে তিনি পারবেন।