Arijit Singh

উপার্জন কোটিতে, অথচ জীবনযাপন সাধারণ, উপার্জিত অর্থ কী ভাবে খরচ করেন অরিজিৎ?

ফিল্মি দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে শত হস্ত দূরে অরিজিৎ সিংহ। তবে আয়ের নিরিখে টেক্কা দিতে পারেন তাবড় বলি তারকাদের। এই বিপুল অর্থ কী ভাবে খরচ করেন গায়ক?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৩২
Share:

উপার্জিত অর্থ কী ভাবে খরচ করেন অরিজিৎ? ছবি: সংগৃহীত।

এই মুহূর্তে হিন্দি প্লেব্যাক জগতের শীর্ষে রয়েছে তাঁর নাম। অরিজিৎ সিংহের কণ্ঠমাধুর্যে মজে আসমুদ্র-হিমাচল। দেশে-বিদেশে শো করেন। তবু বার বার ছুটে আসেন নিজের ভিটেমাটির টানে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। সেলেব-সুলভ অহমিকা নয়, বরং প্রচারের আলো এবং ফিল্মি দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। তবে তা বলে সম্পত্তির পরিমাণ কিছু কম নেই অরিজিতের। টেক্কা দিতে পারেন বড় বড় বলিউড তারকাদের। কিন্তু দেশে-বিদেশে শো করে, সিনেমার গান গেয়ে যে অর্থ উপার্জন করেন তা অরিজিৎ খরচ করেন কী ভাবে?

Advertisement

বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কলকাতায় অরিজিৎ। ছবি: সংগৃহীত।

সূত্রের দাবি, অরিজিতের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি টাকার। শোনা যায় গানপিছু তিনি নেন ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে লাইভ শো। শো-পিছু যে পারশ্রমিক নেন, তার কিছুটা হেরফের হলেও মোটামুটি কোটি উপরেই থাকে সেই অঙ্ক। তবে অনেকেই হয়তো জানতে উৎসুক, রোজগার বাবদ অর্জিত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গায়ক খরচ করেন কী ভাবে? জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও ভীষণ সাদামাঠা থাকতেই পছন্দ করেন অরিজিৎ। বড় মাপের গায়ক, কিন্তু দামি গাড়ি নেই। সাধারণ মধ্যবিত্তদের মতোই তাঁর বিচরণ। যদিও সম্প্রতি ম্যানেজারের পরামর্শে বড় গাড়ি কিনতে বাধ্য হয়েছেন অরিজিৎ।

কয়েক মাস আগে সমাজমাধ্যমে ছেলে ও সস্ত্রীক অরিজিতের কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তাতে জিয়াগঞ্জের মাউন্ট লিটেরা জ়ি স্কুলের গেটের সামনে দেখা যায় তাঁকে। ছেলেকে মুম্বই বা কলকাতার কোনও স্কুলে না পড়িয়ে নিজের জেলার স্কুলে ভর্তি করেছেন তিনি। আবার পাঁচ জন অভিভাবকের সঙ্গেই স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করেন। এতটাই মাটির কাছাকাছি গায়ক। তাই নিজের রোজগারের অর্থ কোনও বিলাসবহুল জীবনযাপনে নয়, বরং সমাজের কল্যাণেই খরচ করেন অরিজিৎ।

Advertisement

জিয়াগঞ্জের রাস্তায় অরিজিৎ। ছবি: সংগৃহীত।

শৈশবে যে স্কুলে পড়েছেন, সেই জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব নেন অরিজিৎ। স্কুলের উন্নয়েন বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন শিল্পী। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে অযত্নে পড়েছিল স্কুলের খেলার মাঠ। অরিজিৎ সিংয়ের তত্ত্বাবধানে সেই মাঠ ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সেই মাঠ।

এ ছাড়াও অরিজিতের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও রয়েছে। জিয়াগঞ্জে উন্নত হাসপাতাল করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে তাঁর। মুর্শিদাবাদে অতিমারির সময় চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে অর্থসাহায্যও করেছেন ‘কবীরা’র গায়ক। এ ছাড়াও অরিজিৎ তাঁর উপার্জনের একটা বড় অংশ জিয়াগঞ্জের হাসপাতালের উন্নয়নে, দুঃস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসায় এবং গানের স্কুল নির্মাণে ব্যয় করেন। এ ছাড়াও জিয়াগঞ্জে বিনামূল্য ইংরেজি শিক্ষার কোচিংও খুলেছেন। লাগাতার বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেও সামিল হন তিনি। আসলে নিজের স্বার্থ নয় বরং সমাজের সার্বিক উন্নতিই যেন অরিজিতের একমাত্র লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement