অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার সম্পর্ক নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে অনেক কিছু লেখালেখি হয়ে থাকলেও কখনও নিজে মুখে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি বিগ বি-কে।
রেখা এবং তাঁর সম্পর্ক নিয়ে যতই জল্পনা চলুক না কেন, এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই থাকেন তিনি। এখনও পর্যন্ত কোনও বেফাঁস কথা বলেননি।
ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন অমিতাভ। তাই সচরাচর কোনও সাক্ষাৎকারেই তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে শোনা যায় না সাংবাদিকদেরও।
এক বার এক সাক্ষাৎকারে রেখাকে নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল জানেন?
১৯৯২ সালের ঘটনা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি রাজনীতিতেও তখন ক্ষমতাশালী বিগ বি। এক সাংবাদিক অনেক অপেক্ষার পর তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার দিন ঠিক করতে পেরেছিলেন।
সাক্ষাৎকার হয়েছিল অমিতাভের বাড়িতেই। বাড়ির গেস্ট রুমে হয়েছিল সেই সাক্ষাৎকার।
অমিতাভের পাশাপাশি সাক্ষাৎকারের সময় ওই ঘরে ছিলেন জয়া বচ্চন এবং তাঁদের দুই সন্তান।
পুরো সাক্ষাৎকারই ভিডিয়ো করা হচ্ছিল। ফিল্ম কেরিয়ার, রাজনীতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিক।
কিন্তু সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে এমন এক বেফাঁস প্রশ্ন করে ফেলেছিলেন তিনি, যার ফল সাংবাদিক পরে ভাল মতো টের পেয়েছিলেন।
ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল জয়া ছাড়া অমিতাভের জীবনে আর কোনও মহিলা কখনও ছিলেন কি না।
প্রশ্ন শোনার পর বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি অমিতাভ। উত্তর দিতে গিয়ে তাঁকে এতটুকু ভাবতেও হয়নি। উত্তর ছিল, কখনও নয়।
তবে সেখানে হাজির জয়া বচ্চনের মুখে খানিকটা বিচলিত ভাব লক্ষ্য করেছিলেন ওই সাংবাদিক। তবে এই প্রশ্নে যে অমিতাভ বিরক্ত হয়েছিলেন তা বোঝেননি।
সাক্ষাৎকারের শেষে ওই সাংবাদিক এবং তাঁর ক্যামেরাম্যানকে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিগ বি। তিনি নিজেও তাঁদের সঙ্গে একই টেবিলে খেতে বসেছিসেন। ঘটনাটি তখনই ঘটে।
ওই সাংবাদিক পরে জানিয়েছিলেন, খাবার টেবিলে রুটি আসতে দেরি হচ্ছিল। জয়া নিজে হাতে সবার প্লেটে ভাত পরিবেশন করেছিলেন।
তিনি অমিতাভের প্লেটে যেই মুহূর্তে ভাত পরিবেশন করেন তখনই গম্ভীর গলায় চিৎকার করে ওঠেন বিগ বি।
বিষয়টি এমন ছিল, অমিতাভ একেবারেই ভাত খেতে পছন্দ করেন না। তিনি রুটি খান। অথচ জয়া তা জানা সত্ত্বেও তাঁর প্লেটে ভাত পরিবেশন করেছিলেন।
ওই সাংবাদিকের কথায়, অমিতাভকে শান্ত হতে বলেন জয়া। কিন্তু অমিতাভ হননি।
খাবার টেবিলে জয়ার উপর রাগ দেখিয়েছিলেন অমিতাভ। কিন্তু ওই সাংবাদিকের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এটা আসলে সাক্ষাৎকারের জন্যই ছিল।
তবে তখনও তিনি নিশ্চিত ছিলেন না সাক্ষাৎকারে ঠিক কী ভুল হয়েছে তাঁদের। বুঝতে পারলেন অফিস পৌঁছনোর পর।
তিনি অফিস পৌঁছনোর আগেই অমিতাভের ফোন চলে গিয়েছিল তাঁর বসের কাছে। বস তাঁকে ডেকে বিষয়টি জানান এবং সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো থেকে ওই অংশটি বাদ দিয়ে তবে তা সম্প্রচার করা হয়।