নীল এবং তৃণা।
কালী পুজো মানেই প্রচুর আলো। আমার আলো ভীষণ ভাল লাগে। ছোট বেলায় এক গাদা বাজি আর আলোর লিস্ট বানাতাম। সেগুলো এলেই আমি আনন্দে আত্মহারা। হা-পিত্যেশ করে অপেক্ষা করতাম, কখন আলো জ্বালাব। কখন বাজি পোড়াবো। দাদা, ভাই, বোন, তুতো দিদি, বন্ধুরা মিলে এক বিশাল বাহিনি। সবাই মিলে সে কী হুল্লোড়!
আমি বড় হয়েছি। অভিনয়ের দুনিয়ায় এসেছি। একটু একটু জনপ্রিয়ও হয়েছি। কালী পুজোর হুল্লোড়ে কিন্তু ভাটা পড়েনি। দুর্গা পুজো আমার কাছে লং ভ্যাকেশন। চারটে, পাঁচটা দিন জমিয়ে আনন্দ। কালী পুজো যেন মেয়ের বিয়ের এক রাত! কিন্তু একটা রাতের রোশনাই চোখ ধাঁধিঁয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিশ্বাস করুন, ওই একটা রাত যেন ‘অনন্ত’ হয়ে যায়।
২০১৬ থেকে আমি রোজগেরে। কিন্তু আজও ধনতেরাসে কিছুই কিনি উঠতে পারিনি। যা কেনাকাটি করার মা-বাবাই করেন। আর মা-বাবা কিছু কিনলেন মানে তো আমারও কেনাকাটা হয়ে গেল। আপনারাই বলুন, আমি আর আমার মা-বাবা কি আলাদা?
আরও পড়ুন: বিদেশি বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন পাহাড়ে, অভিনয়ের টানে চাকরি ছাড়েন পদার্থবিদ্যায় স্নাতক আসিফ
এ বছর যদিও পুরোটাই অন্য রকম। প্রথমত, বাজি পোড়ানো নেই। আগে তো সবাই প্রাণে বাঁচি! আশা করছি, ২০২০-র বিষ ২০২১-এ থাকবে না। কে বলতে পারে, আগামী বছর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ফিরবে। তাই এ বছর আমি অতি সাবধানী। তাছাড়া, এ বছর ছুটিই পাব না শ্যুটিং থেকে। সারা দিন কাজের পর বাড়ি ফিরে আর কোথায় যাব! বাড়িতেই তাই জমিয়ে হাউজ পার্টি হবে। নীল আসবে। বন্ধুরা আসবে। তুতো ভাই-বোনেরা থাকবে। খাওয়াদাওয়া, হুল্লোড় নেহাৎ কম হবে না।