বাড়িতে কী করে সময় কাটাচ্ছেন রাহুল মজুমদার? নিজস্ব চিত্র।
২০২২-এর ১৮ অগস্ট থেকে ২০২৪-এর ৬ জুন। আর দুটো মাস পেরোলেই দু’বছর একটি ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্রে থাকতেন তিনি। দিন তিনেক আগে যিশু সেনগুপ্ত-নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর ‘শঙ্কর’ ওরফে রাহুল মজুমদারের পথচলা শেষ। রবিবার বিকেলে সে খবর ভাগ করে নিলেন তিনি। শুটিং নেই। কাজে যাওয়ার তাড়াও নেই। দিন কাটছে কী করে? নায়কের দিনলিপি জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। তখনই কথায় কথায় জানালেন, ধারাবাহিক ছাড়ার পরেই অন্য একটি চ্যানেলে কাজের কথা প্রায় পাকা। আচমকা কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি সরে এসেছেন। আপাতত বিশ্রামের মেজাজে।
কী রকম? রাহুল বললেন, ‘‘এখন আমার রোজই রবিবার। সকালে একটু হয়তো বেলা করে উঠছি। তার পর জিম। স্ত্রী প্রীতি অন্তঃসত্ত্বা। ওর সাত মাস চলছে। এখন একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন। তাই ওকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ বাকি সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। ভাল ছবি, সিরিজ দেখা আছেই। রবিবারেই তিনি যেমন বন্ধুর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। একসঙ্গে মজা করতে করতে খেলা দেখবেন বলে। আগে সঙ্গে প্রীতি থাকতেন। শরীরের কারণে এখন পারছেন না। রাহুলের তাঁকেও মনে পড়ছে। তিনি নেই। শুটিং চলছে। রোজ ছোট পর্দায় ধারাবাহিকের নতুন পর্ব। দেখা হয়? একটু থেমে জবাব, ‘‘দেখছি না। দেখতে পারছি না। মনখারাপ লাগছে! তবে দেখব। আর দুটো দিন যাক।’’
তার পর নিজেই জানিয়েছেন, ধারাবাহিকে ১৫ বছরের লম্বা টাইম স্প্যান। তাঁকে মেয়ের বয়স্ক বাবা হিসেবে দেখা যেত। তিনিই বেশি বয়সের চরিত্র করতে রাজি হননি। নিজের ইচ্ছেয় ধারাবাহিক ছেড়েছেন। কাজ নিয়ে কী ভাবছেন? বেশির ভাগের পছন্দ সিরিজ়। এমনও শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি বড় পর্দায় ডাক পেয়েছেন বলেই ধারাবাহিক ছেড়েছেন। কথা ফুরোতেই জবাব, ‘‘ছবিতে ডাক পেয়েছি খুব ভুল খবর। আমি আপাতত কাজ থেকে দূরে থাকব। চরিত্র থেকে বেরোব। তার পর ছোট পর্দা, সিরিজ়, বড় পর্দা— যে মাধ্যম ডাকবে, সাড়া দেব। তবে গল্প আর চরিত্র ভাল হওয়া চাই। আমি তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’’