শতবর্ষে উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহিব। ফাইল চিত্র
উস্তাদ আলি আকবর খাঁ-সাহিবের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠান। এক দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানটি ১৭ এপ্রিল, রবিবার। সায়েন্স সিটি মিনি অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে। দিনভর সরোদ এবং সরোদ! আর পাঁচটা দিনে এমন অভিজ্ঞতার সুযোগ হয় না বললেই চলে!
সকালে সম্মানজ্ঞাপন। তালিকায় অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিক্রম ঘোষ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। এর পর মূল অনুষ্ঠান। সরোদ বাদনে আশিস খান স্কুল অব ওয়ার্ল্ড মিউজিক অনসম্বলের শিল্পীরা মাইহার ঘরানার বিভিন্ন বাজনা পরিবেশন করবেন। নবীন শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানের মূল কাণ্ডারি। এর পর আলি আকবরের ছাত্র অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরোদবাদন। তবলায় অরূপ চট্টোপাধ্যায়।
বিকেলের প্রথম পর্বে সরোদ বাজাবেন দীপ্তনীল ভট্টাচার্য। তবলায় থাকবেন সৌরভ গোহো। এর পর ‘সরোদ সিস্টার্স’। ত্রৈলী এবং মৈসিলী দত্তের সরোদের সঙ্গতে তবলায় ইন্দ্রনীল মল্লিক। অতীশ মুখোপাধ্যায় পরের শিল্পী। তিনিও সরোদ পরিবেশন করবেন। তবলায় সৌম্যেন নন্দী। পরের তিনটি সরোদবাদনে থাকবেন তিন শিল্পী—রণজিৎ সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ সেনগুপ্ত এবং দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য। সঙ্গে তবলায় যথাক্রমে উজ্জ্বল ভারাটি, রঘুনাথ ভট্টাচার্য এবং অরূপ চট্টোপাধ্যায়।
সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে আবার একটি অনসম্বল, পরিবেশনে উস্তাদ আলি আকবর খান বাদ্যবৃন্দ। এই পর্যায়ে আলি আকবর খাঁ-সাহিবের নানা কম্পোজিশন পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় অনুষ্ঠানে তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের পুত্র ইন্দ্রায়ূধ মজুমদার। তবলায় প্রয়াত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র আর্চিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অতঃপর, একক তবলা পরিবেশনে অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়। হারমোনিয়মে দেবাশিস কর্মকার। এর পর অমিতাভ মজুমদার এবং শেষ শিল্পী পার্থ সারথি। তাঁদের সঙ্গে তবলায় থাকবেন সন্দীপ ঘোষ এবং সমর সাহা। অনুষ্ঠানের আয়োজনে অন্নপূর্ণাদেবী ফাউন্ডেশন, আশিস খান স্কুল অব ওয়ার্ল্ড মিউজিক এবং ক্যালকাটা পারফরমিং আর্টস ফাউন্ডেশন।