হোলি। রঙের উৎসব। বেরঙা জীবন কে-ই বা পছন্দ করেন! টলিউড হোক বা বলিউড, দুই ইন্ডাস্ট্রিই কিন্তু এই দু’দিন নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন নানা রঙে।
বলি সেলেবদের কারও কারও হোলি পার্টি তো আবার ভীষণই জনপ্রিয়। সেই সব পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করে বসে থাকেন অন্যেরা। গ্যালারিতে রইল এমনই কিছু পার্টির হদিস।
হোলির গান মানেই এখনও সেই ‘রং বরষে’। আর এই ফিল্মের যিনি হিরো ছিলেন, তাঁর বাড়িতে ধুমধাম করে হোলি পালন হবে না, তা কি হতে পারে?
প্রতি বছর খুবই ধুমধাম করে হোলি পালন করা হয় বচ্চন পরিবারে। প্রচুর অতিথি আমন্ত্রিত থাকেন। খাওয়া-দাওয়া, হৈহুল্লোড় সব মিলিয়ে সারাদিন জমাটি আড্ডা হয়।
আগে প্রতি বছর বাড়িতে হোলি পার্টি দিতেন শাহরুখ এবং গৌরী। তবে গত ২-৩ বছর হল সেটা আর দেখা যাচ্ছে না। জানা যায়, জলের অপচয় কমানোর জন্যই নাকি তাঁদের এই উদ্যোগ।
গত প্রায় ৪০ বছর ধরে হোলি পালন করে আসছেন শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতার। এই প্রথাটা শুরু করেছিলেন শাবানা আজমির বাবা কাইফি আজমি। প্রতি বছরই এই জুটি ঢোলের তালে ডান্স ফ্লোর মাতিয়ে তোলেন।
প্রযোজক একতা কপূরও প্রতি বছর ধুমধাম করে হোলি পালন করে থাকেন। তাঁর পার্টিতে আমন্ত্রিত থাকেন বলিউডের ছোট-বড় সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। যাতে কেউই তাঁর পার্টিতে এসে নিজেকে বঞ্চিত মনে না করেন বা কোনওভাবে বিরক্ত বা একঘেয়ে না লাগে, সে দিকে ভীষণ খেয়াল রাখেন তিনি।
রাজ কপূরের আরকে স্টুডিয়োয় বিলাসবহুল হোলি পার্টির কথা কেউ ভুলতে পারে না। কপূর পরিবারের এই হোলি পার্টি খোলা থাকত পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্য।
কপূর পরিবার তো বটেই, বলি ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই তাঁদের পরিবার নিয়ে এই দিনের পার্টিতে যোগ দিতেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পার্টির তত্ত্বাবধান করতেন রাজ কপূর।
কম যান না রণবীর সিংহও। ধুমধাম করে হোলি পালন করেন প্রতি বছর। রণবীর সিংহ-দীপিকা পাডুকোনের এটা বিয়ের দ্বিতীয় বছর। গত বছরের মতো এ বছরও তাই হোলি পালনে কোনও ফাঁক রাখবেন না তাঁরা, আশা করাই যায়।