ববি দেওল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
করোনাভাইরাস হানার পূর্বাভাস পাননি বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরাও। কিন্তু ববি দেওল দীর্ঘ দিন ধরেই সতর্ক ছিলেন। মুখে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিভৃতবাসে থাকা, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা বা করানো— সব মেনে চলেছেন তিনি। তারই টুকরো টুকরো প্রমাণ জড়ো করেছেন মিম স্রষ্টারা। বানিয়েছেন ভিডিয়ো। যথারীতি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি সেটি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই নেটমাধ্যম ফের করোনা মিমে ছয়লাপ। তার মধ্যে তালিকার প্রথম দিকে জায়গা করে নিয়েছে অভিনেতা ববি দেওলের বিভিন্ন ছবির একটি মন্তাজ ভিডিয়ো।
কী দেখা যাচ্ছে সে ভিডিয়োয়?
‘করীব’, ‘আউর পেয়ার হো গ্যায়া’, ‘দিল লাগি’ ইত্যাদি বলিউড ছবির বিভিন্ন টুকরো টুকরো ক্লিপ কেটে বসানো হয়েছে পর পর। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে ঠিক যে যে স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে মানুষ পরিচিত, সে রকমই কিছু বিধি ববির সংলাপে বা কাজে ফুটে উঠেছে। প্রথমে দেখা যাচ্ছে, ববি বলছেন, ‘‘যা আপনাদের চোখে পড়ে না, তা আমি দেখতে পাই।’’ যেন অদৃশ্য ভাইরাসের কথাই বলছেন অভিনেতা। পরের ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, অভিনেতা সানি দেওল একটি সুইমিং পুলে। ববি পুলের বাইরে। সানি তাঁকে ছুঁতে যেতেই ববি মানা করেন। বলেন, ‘‘না দাদা, তুমি আমায় ছুয়ে দিলে তোমার রোগ আমার শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।’’ তার পরেই ঐশ্বর্য রাইয়ের নাকে জোর করে ‘কিউ-টিপ’ ঢুকিয়ে হাঁচার নির্দেশ দিচ্ছেন। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা এমন ভাবেই ‘কিউ-টিপ’-এর ব্যবহার করেন। ফের চিকিৎসকের রূপে অভিনেতা। মুখের মাস্কটি খুলছেন তিনি। তার পরে দেখা যাচ্ছে, ববি একটি দরজা ভিতর থেকে এমন ভাবে বন্ধ করছেন, যেন কেউ চাইলেও প্রবেশ করতে না পারে। নেটাগরিকরা সেই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিভৃতবাসের মিল পাচ্ছেন। শেষে সাবান দিয়ে হাত ধুতে দেখা যাচ্ছে ববিকে।
মিমস্রষ্টাদের একটি নির্দিষ্ট পেজে সেই ভিডিয়োটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘ভগবান ববি দেওলকে ট্যাগ করুন’। সেই ভিডিয়োর সূত্রে হাসির রোল নেটমাধ্যমে। যা কেউ জানত না, ববি দেওল যেন অজান্তেই সে সব কথা বহু বছর আগে বলেছেন।