বিভিন্ন সমাজে প্রায়শই দেখা যায়, তুতো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে হচ্ছে। এমন নজির খ্যাতনামীদের মধ্যেও কম নেই। সারা বিশ্বের বিনোদন জগতের মানুষদের মধ্যে কারা এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
বাবর খান: পাকিস্তানের জনপ্রিয় টেলি-অভিনেতা বাবরের প্রথম স্ত্রী সানা খানের মৃত্যুর পর তিনি তাঁর এক তুতো বোন বিসমা খানকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের সময়ে বিসমা নবম শ্রেণিতে পড়তেন। সেই বিয়ে নিয়ে পাক সংবাদসংস্থায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল। এখন বাবর-বিসমার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
শাইস্তা লোদি: পাক টেলিভিশনের সঞ্চালক শাইস্তা তাঁর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তুতো ভাই আদনান লোদিকে বিয়ে করেছিলেন।
নুসরত ফতেহ্ আলি খান: কাওয়ালি জগতের কিংবদন্তি নুসরত ফতেহ্ আলি তুতো বোন নাহিদ নুসরতকে বিয়ে করেছিলেন।
জেরি লি লুইস: মোট সাতটি বিয়ে বিশ্ববিখ্যাত এই আমেরিকান সঙ্গীত তারকার। পিয়ানোর জাদুকর জেরির তৃতীয় বিয়ে ছিল তাঁর তুতো বোন মায়রা গেল ব্রাউনের সঙ্গে। মায়রার বয়স তখন মাত্র ১৩। ১৯৫৮ সালে সেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ১৯৭০ সালে প্রতারণা এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে জেরির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ সারেন মাইরা।
সনম মারভি: পাকিস্তানি লোকসঙ্গীত জগতের পরিচিত মুখ সনম তুতো ভাই হামিদ আলি খানকে বিয়ে করেন। তাঁরা তিন সন্তানের জন্ম দেন।
আলি খান: জন্ম পাকিস্তানে। কিন্তু আলির পরিবার ভারতেই বসবাস করতেন। কয়েক বছর আগে করাচিতে ফিরে গিয়েছেন আলিরা। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ডন’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে আলিকে। তাঁর স্ত্রীও তাঁর তুতো বোন।
সামি খান: পাকিস্তানের প্রথম সারির অভিনেতা সামি খানের প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে তিনি তাঁর তুতো বোনকে বিয়ে করেন।
গ্রেটা স্কাচ্চি: ‘প্রিজিউমড ইনোসেন্ট’ ছবির অভিনেত্রী গ্রেটা তাঁর তুতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন। ইটালির এই অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সেই স্বামীর এক পুত্রসন্তান রয়েছ। তবে তার আগে গ্রেটা আমেরিকান লেখক ভিনসেন্ট ডি’ওনোফ্রিওর সঙ্গে চার বছর একটি প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। ভিনসেন্টের সঙ্গে তাঁর এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
অতুলপ্রসাদ সেন: সব থেকে দুঃখজনক পরিণতি ঘটে বাংলা সঙ্গীত জগতের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব অতুলপ্রসাদের জীবনে। তিনি তাঁর মামাতো বোন হেমকুসুমকে বিয়ে করেন। কিন্তু ভারতের আইনে এমন বিয়ে সিদ্ধ ছিল না। পারিবারিক বিরোধিতাও ছিল। অতুলপ্রসাদ স্কটল্যান্ডে গিয়ে এই বিয়ে করেন ১৯০০ সালে। সেখানে এই বিয়ে আইনসিদ্ধ ছিল। শেষ পর্যন্ত হেমকুসুমের সঙ্গে তাঁর বিবাহ টেকেনি। বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য সমস্যায় জর্জরিত হন অতুলপ্রসাদ। হেমকুসুম তাঁকে ছেড়ে যান।