(বাঁ দিকে) হেমা মালিনী। (ডান দিকে) সপরিবারে সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
দেওল পরিবারের অন্দরের সম্পর্কের সমীকরণ কেমন? তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর ও দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনীর মধ্যে নাকি মুখ দেখাদেখি নেই! অভিনেতার দুই পক্ষে পরিবারের ছয় সন্তান— সানি দেওল, ববি দেওল ও তাঁদের দুই বোন, অন্য দিকে রয়েছেন হেমা মালিনীর দুই মেয়ে এষা দেওল ও অহনা দেওল।ভাইবোন হলেও গত চার দশক ধরে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেছেন সানি ও ববি এবং এষা ও অহনা। প্রায় চার দশকের এই দূরত্বই নাকি ঘুচেছে দেওল পরিবারে, তা-ও আবার ‘গদর ২’-এর কারণে। সৎছেলের ছবি দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘ড্রিমগার্ল’। পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কেন সানির ছেলের বিয়েতে দেখা মেলেনি হেমার পরিবারের? দেওল পরিবারের অন্দরের সম্পর্ক কেমন, সে কথাই জানালেন হেমা মালিনী।
হেমা মালিনী এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁদের পরিবার তেমন নয়, যারা যে কোনও সময় ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে দেবে। হেমা মালিনীর কথায়, “আমার বরাবরই এক পরিবার হয়ে ছিলাম। বিভিন্ন সময় ওঁরা আমার বাড়িতে আসেন। শুধু আমরা ছবি সমাজমাধ্যমে দিই না। আমরা তেমন পরিবার নই। আমরা বরাবরই একসঙ্গে ছিলাম। কিন্তু এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। তবে সংবাদমাধ্যম মনে হয় এখন জানতে পারছে। তারা খুশি, আমরাও খুশি।”
পাশপাশি তিনি সানির সাফল্যে যে খুশি, সে কথাও জানান। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি বরাবর সানিকে বলতাম তোমাকে দর্শক চায়। আমি বলতাম, একটা দারুণ কাজ করতে হবে তোমাকে। এ বার সেই সময় এসে গিয়েছে। ভীষণ ভাল মানুষ ও।’’ কিন্তু পরিবারের মধ্যে এমন সু-সম্পর্ক থেকেও সানির বড় ছেলের বিয়েতে কেন দেখা মিলল না ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় পক্ষের পরিবারের? হেমা মালিনীর সাফ কথা, ‘‘কিছু অসুবিধা ছিল সেই সময়, তাই যাওয়া হয়নি।’’ অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ববিকে নিয়ে এষা ও অহনার বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সানির। যদিও এই প্রসঙ্গে হেমা জানান, একদম প্রথম থেকে রাখিতে সানি-ববি আসেন তাঁদের বাড়িতে। সত্যিই কি প্রথম থেকে দেওলদের মধ্যে এতটাই সহজ ছিল সম্পর্ক, না কি বরফ গলছে ইদানীং?